ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান কী

ট্রাম্প বলেন, সম্মেলনে সমাধান বিষয়ে কথা হয়েছিল। কেউ দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা বলছেন। কেউ তো এক রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানেরও দাবি তুলেছেন। তবে এ বিষয়ে আমি কোনো সিদ্ধান্ত জানাইনি।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প |আল জাজিরা

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়ে নতুন করে বিতর্ক জন্ম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মিসরের শার্ম আশ-শায়খে গাজাবিষয়ক সম্মেলনের পরে এই বিতর্ক তৈরি হয়।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, মিসরের শার্ম আশ-শায়খে গাজাবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। এতে গাজা ও ইসরাইলের মাঝে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেখান থেকে ফেরার আগে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি এখানে গাজার পুনর্গঠন নিয়ে কথা বলেছি। এক রাষ্ট্র বা দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধান বিষয়ে কোনো কথা বলিনি।

তিনি আরো বলেন, সম্মেলনে সমাধান বিষয়ে কথা হয়েছিল। কেউ দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা বলছেন। কেউ তো এক রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানেরও দাবি তুলেছেন। তবে এ বিষয়ে আমি কোনো সিদ্ধান্ত জানাইনি।

পরে হোয়াইট হাউস তাদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করে। সেখানে ট্রাম্পকে বলতে দেখা যায়, আমরা প্রমাণ করেছি যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা কেবল একটি আশা নয়, যার স্বপ্ন আমরা দেখে থাকি। বরং স্থিতিশীলতা হলো একটি বাস্তবতা...এই বাস্তবতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন মানুষ তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এর জন্যই তারা সংগ্রাম করছে; আশাবাদ ব্যক্ত করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট মিসর সম্মেলনে প্রথমে গাজার পুনর্নির্মাণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। একইসাথে যুদ্ধের অবসান, উপত্যকায় পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থার প্রতি জোর দিয়েছেন।

শর্ম আশ-শায়েখে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, এটিই সেই দিন, যার জন্য গোটা বিশ্বের মানুষ অপেক্ষা করছে। এখন গাজা যুদ্ধ শেষ হলো। উপত্যকায় প্রচুর পরিমাণে ত্রাণ সরবরাহ হবে। ইসরাইলি বন্দীরা ‍মুক্ত হয়ে স্বজনদের সাথে মিলিত হবে। এখন গাজাকেও পুনর্গঠন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে মিত্রদের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ইস্যুতে অসন্তুষ্ঠি ব্যক্ত করেছিলেন ট্রাম্প। তখন তিনি বলেছিলেন, তাদেরকে এই স্বীকৃতি দেয়ার মানে হলো বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা। অন্যভাবে বললে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা।

তিনি আরো বলেছিলেন, যারা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতি দিচ্ছে, তারা মূলত হামাসকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতেই উৎসাহিত করছে। তবে হামাসের জেনে রাখা উচিৎ যে এই উগ্রবাদের জন্য তাদের চড়া মূল্য পরিশোধ করতে হবে।

সূত্র : আল জাজিরা