বিবদমান পক্ষগুলোর প্রতি গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলার এবং সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর ও তুরস্ক। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) মিয়ামিতে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এ তথ্য জানিয়েছেন।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত উইটকফের সাথে তিন দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। এ সময় তারা ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন।
বৈঠক শেষে উইটকফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্টের ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনার পুরোপুরি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি এবং সব পক্ষকে তাদের দায়িত্ব পালনে সংযম দেখাতে ও এই পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থায় সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
এই বৈঠক এমন সময় হলো, যখন চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে পক্ষগুলোর মধ্যে টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, শুক্রবার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরাইলি গোলাবর্ষণে ছয়জন নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৪০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরাইল ও হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ অব্যহত রেখেছে। দেশটির সেনাবাহিনীর এক তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের পর থেকে গাজায় তাদের তিনজন সৈন্য নিহত হয়েছে।
বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে কিছু অগ্রগতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি, পণবন্দীদের লাশ ফেরত, আংশিক সেনা প্রত্যাহার ও সহিংসতা হ্রাস। পাশাপাশি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে নির্ধারিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন দ্রুত গঠন ও কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয় এবং এর বাস্তবায়ন নিয়ে আগামী সপ্তাহগুলোতে তাদের মধ্যে আলোচনা চলবে বলে জানানো হয়।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরাইলকে গাজায় তাদের অবস্থান থেকে সরে যেতে হবে, হামাসের পরিবর্তে একটি অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ অঞ্চলটি পরিচালনা করবে এবং সেখানে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, তিনি আশা করেন যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই বাহিনীতে সৈন্য পাঠাবে। তবে তিনি হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করে বলেন, তা না হলে পুরো প্রক্রিয়াই ভেঙে পড়তে পারে।
সূত্র : বাসস



