যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তি’ চায় ইরান

যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্র ও ইসরাইল দাবি করেছে, ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচীর আড়ালে অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে ইরান বরাবরই বলে এসেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচীর উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

কয়েক দশকের বিরোধ সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছাতে চায় ইরান। কিন্তু দেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো আপোষ করবে না ইরান। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খতিবজাদেহ।

যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্র ও ইসরাইল দাবি করেছে, ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচীর আড়ালে অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে ইরান বরাবরই বলে এসেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচীর উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অক্টোবরে বলেছিলেন, ইরান রাজি থাকলে যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের সাথে চুক্তি করতে প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, (ইরানের সাথে) বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার হাত উন্মুক্ত।

খতিবজাদেহ ১২তম আবু ধাবি স্ট্র্যাটেজিক ডিবেটে বলেন, ওয়াশিংটন তৃতীয় দেশগুলোর মাধ্যমে তেহরানের পারমাণবিক আলোচনা সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী বার্তা পাঠাচ্ছে।

জুন মাসে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধের আগে ওয়াশিংটন ও তেহরান পাঁচ দফা পারমাণবিক আলোচনা করেছিল। ওই যুদ্ধে ইসরাইলের সাথে ওয়াশিংটন ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়।

তেহরানের দৃষ্টিভঙ্গির পুনরাবৃত্তি করে খতিবজাদেহ ওয়াশিংটনকে ‘কূটনীতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা’ করার অভিযোগ করেন। জুন মাসে ১২ দিনের যুদ্ধের পর দুই দেশের পারমাণবিক আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে।

দুই পক্ষের মধ্যে বেশকিছু বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে। যেমন- ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি। অস্ত্রায়নের ঝুঁকি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে চায়। কিন্তু তেহরান তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

সূত্র : রয়টার্স