গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার ২০ ইসরাইলি পণবন্দীদের বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের অনেকেই ইসরাইলি কারাগারে তাদের বন্দীদশা নিয়ে কথা বলেছেন।
খান ইউনিসে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিদের সাথে কথা বলেছে আল জাজিরা। এর মধ্যে আবদুল্লাহ আবু রাফি একজন। তিনি তার মুক্তির অনুভূতিকে ‘অসাধারণ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি কসাইখানায় ছিলাম, কারাগার নয়। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা ওফার কারাগার নামে একটি কসাইখানায় ছিলাম। এখনো অনেক তরুণ সেখানে আছে। ইসরাইলি কারাগারগুলোর অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সেখানে কোনো তোশক নেই, তারা সবসময় তোশকগুলো নিয়ে যায়। খাবারের অবস্থাও খারাপ। সেখানকার পরিস্থিতি খুবই কঠিন।’
মুক্তিপ্রাপ্ত আরেক বন্দী ইয়াসিন আবু আমরা ইসরাইলি কারাগারের অবস্থাকে ‘খুব, খুব খারাপ’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘খাবার, নির্যাতন, মারধর- সবদিক থেকেই অবস্থা ভয়াবহ ছিল। খাবার বা পানীয় কিছুই ছিল না। আমি চার দিন ধরে কিছু খাইনি। তারা আমাকে এখানে দুটি মিষ্টি দিয়েছে, সেগুলোই খেয়েছি।’
সোমবার মুক্তি পাওয়া সাঈদ শুবায়ের বলেন, তিনি তার অনুভূতি কিভাবে বর্ণনা করবেন তা জানেন না। তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতি অবর্ণনীয়। কারাগারের বাইরে সূর্য দেখতে পাওয়া এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। আমার হাতে আর হাতকড়া নেই। স্বাধীনতা অমূল্য।’
বন্দী বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী, যাবজ্জীবন ও দীর্ঘ কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন এমন প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। আরো এক হাজার ৭১৮ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, যাদের গাজা যুদ্ধের সময় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জাতিসঙ্ঘের মতে, তাদের ‘জোরপূর্বক গুম’ করা হয়েছিল।