বন্দীদের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই ইসরাইলের : হামাস

গাজায় বন্দী ইসরাইলিদের প্রতি তেল আবিবের কোনো আগ্রহই নেই। তারা বন্দীদেরকে জীবিত কিংবা মৃত কোনো অবস্থায়ই ফেরত নিতে চায় না।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
হামাসের লোগো
হামাসের লোগো |সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, গাজায় বন্দী ইসরাইলিদের প্রতি তেল আবিবের কোনো আগ্রহই নেই। তারা বন্দীদেরকে জীবিত কিংবা মৃত কোনো অবস্থায়ই ফেরত নিতে চায় না।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা গাজা সিটিকে কিছুতেই দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে যেতে দেব না।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গাজায় ইসরাইলি অভিযান বিস্তৃত করা এদিকেই ইঙ্গিত দেয় যে ইসরাইল আসলে বন্দীদের মুক্ত করতে চায় না। জীবিতদেরও মুক্তি চায় না। মৃতদেরকেও নিতে চায় না।

ইসরাইলি বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা তোমাদেরকে ভয় করি না। তোমাদেরকে জাহান্নামে পাঠাতে আমরা পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে আমাদের হাজার হাজার সৈন্যের সজাগ বাহিনী এবং হাজার হাজার অ্যামবুশ ও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভাইস। সুতরাং গাজায়ই তোমাদের কবর রচনা হবে। ইনশাআল্লাহ।

দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ

বিবৃতিতে ইসরাইলি বাহিকে বলা হয়, গাজা সিটিতে হামলার মধ্য দিয়ে তোমরা এমন এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে প্রবেশ করেছো, যেখানে তোমাদের অনেক সেনার লাশ পড়বে, বন্দী হবে আরো অনেকেই।

বিবৃতিতে ইঙ্গিত দেয়া হয় যে ‘হামাস যোদ্ধাদেরকে ইসরাইলি সামরিক যানে বিস্ফোরক ডিভাইস রাখার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।’ সতর্ক করে বলা হয়, এখন থেকে ইসরাইলি বুলডোজারগুলোই হবে হামাসের বিশেষ টার্গেট। এর মধ্য দিয়ে বন্দীদের সংখ্যাও বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।

আল কাসসাম জানিয়েছে, গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায় বন্দীদের রাখা হয়েছে। এখন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী যদি তাদেরকে হত্যা করতে চায়, তাহলে তাদেরকে বাঁচাতে হামাস বিশেষ আগ্রহ দেখাবে না।

অভিযান বিস্তৃত হলে কোনো বন্দীকে ফিরে পাবে না

আল কাসসাম হুঁশিয়ার করে বলেছে, গাজা সিটিতে যদি অভিযানের পরিধি আরো বিস্তৃত করা হয়, তাহলে ধরে নেয়া হবে, ইসরাইল বন্দীদের জীবিত কিংবা মৃত মুক্ত করতে চায় না।

এদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা সিটিতে বিশেষ অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। এজন্য তারা ইতোমধ্যে গাজা সিটির হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছে।

অপরদিকে, বৃহস্পতিবারের এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, বিশ্বব্যাপী হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে করা আন্দোলনগুলো যেন অব্যাহত রাখা হয়। একইসাথে এর মধ্য দিয়ে যেন ইসরাইলের উপর চাপ আরো বৃদ্ধি করা হয়।

সূত্র : আল জাজিরা