সৌদি আরবের নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন দেশটির বিশিষ্ট ইসলামী স্কলার শায়খ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজান। তিনি সদ্য মারা যাওয়া শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আলে শায়খের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) আল-আরাবিয়া জানায়, শায়খ ড. সালেহর বয়স ৯০ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের অন্যতম শীর্ষ আলেম ও ইসলামী স্কলার হিসেবে বিবেচিত।
সৌদির প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের সুপারিশের ভিত্তিতে হারামাইন শরীফাইনের (পবিত্র দুই মসজিদ- মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী) খাদেম ও সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ এক রাজকীয় আদেশে শায়খ ড. সালেহকে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
ওই আদেশে বলা হয়, শায়খ ফাওজানকে সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইফতা ও গবেষণাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান হিসেবেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের আল-কাসিম প্রদেশে জন্ম নেয়া শায়খ সালেহ শৈশবেই বাবা হারান এবং স্থানীয় এক ইমামের কাছে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরে তিনি নূর আলা আল-দারব (আলোয় পথচলা) রেডিও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচিতি পান। এছাড়া টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও ইসলামী গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে এক প্রশ্নের জবাবে শায়খ সালেহ শিয়া মুসলিমদের ‘শয়তানের ভাই’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীদেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন, বিশেষত যখন তারা সৌদি আরবের পবিত্র স্থানগুলোর দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।
এর আগে, ২০১৬ সালে তিনি জনপ্রিয় গেম ‘পোকেমন গো’ নিষিদ্ধ করার ফতোয়া দিয়েছিলেন, একে তিনি জুয়ার সমতুল্য বলে মন্তব্য করেন।
২০০৩ সালে শায়খ সালেহ এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, যতদিন ইসলাম থাকবে, ততদিন জিহাদও থাকবে।’ তিনি তখন ‘জিহাদ’ শব্দটির আধ্যাত্মিক অর্থ ‘আন্তরিক আত্মসংগ্রাম’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন।
সূত্র : আল-আরাবিয়া ও অন্যান্য



