অধিকৃত পশ্চিমতীরে আরো ১৯টি নতুন বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইলের মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটি। রোববার (২১ ডিসেম্বর) দেশটির কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রী বলেছেন, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাধা দেয়া।
ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ নিয়ে বিগত তিন বছরে পশ্চিমতীরে ৬৯টি বসতি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল সরকার।
নতুন বসতি স্থাপনের অনুমোদন এমন এক সময়ে দেয়া হলো, যখন কয়েক দিন আগেই জাতিসঙ্ঘ থেকে এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। এসব বসতি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ উল্লেখ করে জাতিসঙ্ঘ বলেছিল, কম করে হলেও ২০১৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অবৈধ বসতি স্থাপন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সিদ্ধান্তটি কবে নেয়া হয়েছিল তা নির্দিষ্ট উল্লেখ করা না হলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজের জুদেয়া ও সামারিয়ায় ১৯টি নতুন বসতি ঘোষণা এবং আনুষ্ঠানিকীকরণের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে।’
স্মোট্রিচ বসতি সম্প্রসারণের একজন সোচ্চার সমর্থক এবং নিজেও একজন বসতি স্থাপনকারী। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা মাঠপর্যায়ে একটি ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাধা দিচ্ছি। আমরা ন্যায়বিচারে বিশ্বাস রেখে আমাদের পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যবাহী ভূখণ্ডের উন্নয়ন, নির্মাণ ও বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখব।’
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সম্প্রতি অধিকৃত ভূখণ্ডে ইসরাইলের একের পর এক বসতি সম্প্রসারণের নিন্দা জানিয়েছেন। এই মাসের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, ‘এটি উত্তেজনা বৃদ্ধি করে চলেছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমিতে প্রবেশাধিকার বাধাগ্রস্ত করছে এবং একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন, গণতান্ত্রিক, সংলগ্ন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্থায়িত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে।’
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি আরো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশসহ কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। যা ইসরাইলের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
সূত্র : এএফপি



