তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে বহু ভবন

রজব তাইয়্যেপ এরদোগান এক বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং বলেন, উদ্ধার ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
তুরস্কের ৬ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে আঘাত হেনেছে
তুরস্কের ৬ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে আঘাত হেনেছে |সংগৃহীত

তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বালিকেসির প্রদেশে ৬ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৮১ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে আরো ২৯ জন, ধসে পড়েছে ১৬টি বহুতল ভবন।

সোমবার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এর আগে, রোববার (স্থানীয় সময়) সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে সিনদিরগি শহরে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ওই শহরেই।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানান, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করার কিছুক্ষণ পরেই ৮১ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়। ভূমিকম্পে ১৬টি ভবন সম্পূর্ণ ধসে পড়ে এবং আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কম্পন ইস্তাম্বুল পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান এক বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং বলেন, উদ্ধার ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘আল্লাহ আমাদের দেশকে যেকোনো ধরনের দুর্যোগ থেকে রক্ষা করুন।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে এবং এর বাইরে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

তবে সিনদিরগি শহরের ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বড় বড় ভবন মাটিতে মিশে গেছে এবং চারপাশে লোহা ও কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে।

তুরস্ক ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। তিনটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৫০ হাজারেরও বেশি এবং প্রতিবেশী সিরিয়ায় আরো পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ভূমিকম্পের দু’বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় রয়েছে।