গাজায় দুর্ভিক্ষের আরো অবনতি হচ্ছে : জাতিসঙ্ঘের সর্তকবার্তা

জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, চলমান ইসরাইলি হামলার কারণে গাজায় পুষ্টি সহায়তা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, যেখানে এক মাস আগে দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত করা হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকায় সেখানে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসঙ্ঘ উদ্বেগ প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) উদ্ধৃতি দিয়ে জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকায় ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স গত ১০ দিনে ৫০টিরও বেশি উদ্ধার ও পুনরুদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘চলমান ইসরাইলি হামলার কারণে গাজায় পুষ্টি সহায়তা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, যেখানে এক মাস আগে দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত করা হয়েছে। পুষ্টি কার্যক্রমে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী প্রায় অর্ধেক চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এতে নতুন রোগী শনাক্তকর ও শত শত শিশুর চিকিৎসা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।’

গাজাজুড়ে মানবিক সহায়তা প্রবেশের ওপর ইসরাইলের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে ডুজারিক বলেন, ‘আজ ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বিত ১২টি মানবিক মিশনের মধ্যে সাতটি পরিচালনা করা হয়েছে। আমাদের দলগুলো কেরেম শালোম থেকে স্বাস্থ্য সরবরাহ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে খাদ্যবহনকারী দুটি মিশন বাতিল করা হয়েছে।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘মরিয়া হয়ে পরিবারগুলো গাজা সিটি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। অনেকেই দক্ষিণে খান ইউনিস ও দেইর আল-বালাহের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে নতুন আশ্রয়প্রার্থীদের রাখার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলি বাহিনী বারবার উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়ার কারণে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ইতোমধ্যেই জনাকীর্ণ হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় গাজার উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষদের জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছানো অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি