ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালে ইউরোপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান চীন-রাশিয়ার

চীন, রাশিয়া ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের স্বাক্ষর করা একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির তথাকথিত ‘স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া’র অধীনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ ‘আইনি ও পদ্ধতিগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ’।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান |সংগৃহীত

জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ইরানকে সমর্থন জানিয়ে বলেছে, তারা এক দশক আগে পারমাণবিক চুক্তির আওতায় তেহরানের ওপর জাতিসঙ্ঘের শিথিল করা নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

চীন, রাশিয়া ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের স্বাক্ষর করা একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির তথাকথিত ‘স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া’র অধীনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ ‘আইনি ও পদ্ধতিগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ’।

চীন ও রাশিয়াসহ ইউরোপের আরো তিন দেশ- ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি (যাদের সম্মিলিতভাবে ই-৩ বলা হয়) ২০১৫ সালে ইরানের সাথে হওয়া পরমাণু চুক্তির স্বাক্ষরকারী ছিল। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে তার প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন।

গত সপ্তাহে ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম চালু করে। এর ফলে ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের পদক্ষেপ নেয়া হয়। যা আগে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধতার বিনিময়ে শিথিল করা হয়েছিল।

সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক বার্তায় বলেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ‘জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের কর্তৃত্ব ও কার্যাবলীর অপব্যবহার’ করে।

২০১৫ সালের ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরান ইউরেনিয়াম উৎপাদনের সীমা আরো বাড়িয়েছে। চুক্তিটির মেয়াদ এই বছরের অক্টোবরে শেষ হতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম কার্যকর হলে চুক্তির আওতায় শিথিল করা নিষেধাজ্ঞাগুলো আবারো কার্যকর হবে।

সূত্র : রয়টার্স