ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার দুই বছর পর গাজার ৩ লাখ শিশু পড়াশোনায় ফিরেছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) ফিলিস্তিনি শরণার্থী ও ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর মিডিয়া উপদেষ্টা আদনান আবু হাসানাহ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিবৃতিটি ইউএনআরডব্লিউএ তাদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে শেয়ার করেছে।
আবু হাসানা বলেন, ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ ছিল গাজার শিশুদের পড়াশোনা। তারা এখন নতুন করে পড়াশোনা শুরু করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে ইউএনআরডব্লিউএ একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি আরো জানান, আপাতত ১০ হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে শিক্ষাগ্রহণ করবে। আর অন্যদের শিক্ষা কার্যক্রম ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে।
ইউএনআরডব্লিউএ-এর এই উপদেষ্টা বলেন, এই শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তত ৮ হাজার শিক্ষাবিদ অংশগ্রহণ করবেন।
আবু হাসানা জোর দিয়ে বলেন, করোনার সময় গাজার হাজার হাজার শিশু পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন যুদ্ধের কারণেও তারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। কিন্তু এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে বন্ধ রয়েছে গাজার শিশুদের পড়াশোনা। তখন থেকে বিদ্যালয়গুলো আশ্রয়শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। অবশ্যই ইসরাইলি আগ্রাসনে সেগুলোও পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইসরাইল গাজা সরকারের ১৭২টি বিদ্যালয় গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া বেসরকারি আরো ১১৮টি প্রতিষ্ঠান তার ধ্বংস করেছে। ইউএনআরডব্লিউএ-এরও ১০০ বিদ্যালয় আগ্রাসনের শিকার হয়েছে।
তারা আরো জানিয়েছে, ইসরাইলি আগ্রাসনে ১৭ হাজার ৭১১ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ২৫ হাজার ৮৯৭ জন। এছাড়া কারা ৭৬৩ স্কুলকর্মীকে হত্যা করেছে। আহত করেছে আরো ৩১৮৯ জনকে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি



