সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি প্রথমবারের মতো সরকারি সফরে বেইজিং গেছেন। তার এই সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছেন।
শাইবানির এই সফরকে সিরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিচ্ছিন্ন থাকার পর গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হলে নতুন ইসলামপন্থী নেতৃত্ব দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
আজ সোমবার ওয়াং ই বলেন, চীন সিরিয়াকে শান্তি প্রতিষ্ঠা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সমন্বয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত হতে সহায়তা করবে।
তিনি আরো জানান, রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশ পুনর্গঠনের পরিকল্পনায়ও সহায়তা করবে বেইজিং।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার পথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করতে চীন প্রস্তুত।
ক্ষমতায় আসার পর সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব অতীতের সহিংসতা থেকে সরে এসে দেশে ও বিদেশে আরো সংযত ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
২০১১ সালে আসাদ সরকারবিরোধী আন্দোলন দমন করতে চাইলে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এতে অনেক মানুষ নিহত এবং দেশের অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়।
জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীন দীর্ঘদিন ধরে দামেস্ককে কূটনৈতিক সহযোগিতা করে আসছে।
২০২৩ সালে এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগমুহূর্তে আসাদ চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সাথে বৈঠক করেন। সেটিই ছিল ২০০৪ সালের পর তার প্রথম চীন সফর। সে সময় সি সিরিয়ার সাথে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ ঘোষণা করেন এবং দুই দেশের সম্পর্ককে আন্তর্জাতিক পরিবর্তনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
সূত্র : এএফপি/বাসস



