জাতিসঙ্ঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস গাজা শহর ও এর আশপাশের এলাকায় ষোষিত দুর্ভিক্ষকে ‘মানবতার ব্যর্থতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) জাতিসঙ্ঘ-সমর্থিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন বা আইপিসি গাজা শহর ও এর আশপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষ চলছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সংস্থাটি গাজার বিভিন্ন অংশে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মাত্রা পঞ্চম ধাপে উন্নীত করেছে। যা সর্বোচ্চ ও সবচেয়ে ভয়াবহ বলে ধরা হয়। আইপিসি বিশ্বজুড়ে অনাহার পরিস্থিতি শনাক্তে কাজ করে।
সংস্থাটি সতর্ক করেছে, গাজা উপত্যকার পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ এখন ‘ক্ষুধা, ভয়াবহ দারিদ্র্য ও মৃত্যুর’ মতো ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইসরাইল আইপিসির প্রতিবেদনকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে দাবি করেছে। তারা এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের কথা অস্বীকার করেছে।
তবে ইসরাইলের এ দাবি শতাধিক মানবাধিকার সংগঠন, বহু প্রত্যক্ষদর্শী, জাতিসঙ্ঘের বেশ কয়েকটি সংস্থা এবং যুক্তরাজ্যসহ ইসরাইলের অনেক মিত্র দেশের বক্তব্যের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
আইপিসি সতর্ক করে বলেছে, অবিলম্বে বড় আকারে সহায়তা না পৌঁছালে গাজায় দুর্ভিক্ষে মৃত্যু ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে। আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘গাজায় যে নারকীয়তা চলছে, সেটি বর্ণনা করার মতো যখন আর কোনো শব্দ নেই বলে মনে হচ্ছিল, ঠিক তখন নতুন এক শব্দ যোগ হলো- দুর্ভিক্ষ।’
তিনি বলেন, ‘এটি কোনো রহস্য নয়, বরং মানবসৃষ্ট বিপর্যয়, নৈতিক ব্যর্থতা এবং মানবতারই পরাজয়।’
মহাসচিব আরো বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীন ইসরাইলের ‘স্পষ্ট ও সংশয়হীন দায়বদ্ধতা’ রয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে গাজার জনগণের খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ নিশ্চিত করার দায়িত্বও।
সূত্র : বিবিসি



