ইরানি চিতাবাঘের থাবায় ইসরাইলি কর্মী নিহত

ইসরাইলের একটি চিড়িয়াখানা থেকে পালানো ইরানি চিতার আক্রমণে ‘ইউরিয়েল নুরি‘ নামে ২৬ বছর বয়সী ইহুদি কর্মী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ইরানি চিতাবাঘ
ইরানি চিতাবাঘ |পার্সটুডে

ইসরাইলের একটি চিড়িয়াখানা থেকে পালানো ইরানি চিতার আক্রমণে ‘ইউরিয়েল নুরি‘ নামে ২৬ বছর বয়সী ইহুদি কর্মী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, ১ আগস্ট (শুক্রবার) সকালে জেরুজালেমের ওই চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলাকালে চিতাটি হঠাৎ করে আবদ্ধ খাঁচা থেকে বেরিয়ে চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরীণ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। এ সময় ইউরিয়েল নুরি অনুষ্ঠানটি প্রস্তুত করার কাজ করছিলেন। তাকে সামনে পেয়ে চিতাটি আক্রমণ করে।

জেরুজালেম বাইব্লিক্যাল জু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিতার আক্রমণের পর নুরির গলা ও শরীরের ওপরের অংশে মারাত্মক জখম হয় এবং তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে চিকিৎসকদের চেষ্টার পরও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

চিড়িয়াখানা আরো জানিয়েছে, তারা ইসরাইলি পুলিশের সহায়তায় একটি সম্পূর্ণ তদন্ত চালাচ্ছে যাতে জানা যায়- চিতাটি কিভাবে পালিয়ে গিয়ে ওই কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিহত ইউরিয়েল নুরি ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধকালীন সময়ে ফেসবুকে গর্বভরে নিজেকে নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করেছিলেন।

এদিকে, একজন সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারী এই ঘটনার একটি অনানুষ্ঠানিক ও ব্যঙ্গাত্মক বিবরণ এভাবে দিয়েছেন, ‘ইসরাইলি চিড়িয়াখানায় একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। সেখানে থাকা একটি ইরানি চিতা খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে আসে। ধারণা করা হচ্ছে, চিতাটি খাঁচায় বন্দি থাকতে রাজি ছিল না। সুযোগ পেয়ে সে বেরিয়ে আসে এবং চিড়িয়াখানার এক ইসরাইলি কর্মীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পুরো ঘটনাটি যেন ছিল এক ধরনের প্রতিশোধ।’

ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যে আরো বলা হয়, ‘এখন অনেকে বলছে, এই চিতাটি শুধু যে শিকার জানতো তা নয়, বরং সে মধ্যপ্রাচ্যের খবরও ভালোভাবে জানতো, আর শেষমেশ সে নিজের ভূমিকা পালন করতেই সিদ্ধান্ত নেয়!’

হিব্রু ভাষার একটি ওয়েবসাইট অনুসারে, ‘আফরিন‘ এবং ‘আলাদিন‘ নামে দু’টি বিরল ইরানি চিতাবাঘ গত জানুয়ারিতে চেক প্রজাতন্ত্রের ‘ডভোর কার্লোভি ভ্যারি‘ চিড়িয়াখানা থেকে জেরুজালামের বাইবেল চিড়িয়াখানায় স্থানান্তরিত করা হয়।

সূত্র : পার্সটুডে