ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান, পরিবেশ বান্ধব এবং স্থায়ী জ্বালানি শক্তি অর্জনের জন্য দেশের পরমাণু শক্তির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে ঘোষণা করেছেন, ইরানের পারমাণবিক প্রযুক্তির বিষয়ে কিছু দেশের উদ্বেগ সত্ত্বেও এই পথচলা অব্যাহত থাকবে।
সোমবার ইরানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দিবস উপলক্ষে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিবেদন উল্লেখ করে বলেন, ‘উন্নত পারমাণবিক প্রযুক্তি অর্জনের দিকে ইরানের যাত্রা নিয়ে বিশ্ব উদ্বিগ্ন; তবে ইরান এই পথযাত্রা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ দেশের জন্য পরিবেশ বান্ধব এবং স্থায়ী জ্বালানি শক্তি প্রয়োজন।’
ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান দক্ষিণ ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ইউনিটের প্রকল্পের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে ঘোষণা করেছেন, এই প্রকল্পে ৬০০০ জনেরও বেশি লোক কাজ করছে; এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি এখন পর্যন্ত ৭২ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। এর ব্যবহারিক জীবনকাল কমপক্ষে ৫০ বছর পর্যন্ত।
ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান কৃষিক্ষেত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের পারমাণবিক সাফল্যের কথা তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে ৫০০,০০০ টন পণ্য বিকিরণ করার ক্ষমতা তৈরি করে বর্জ্য হ্রাস এবং খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য খাতে ৭২ ধরণের রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল উৎপাদন করে, যা বার্ষিক প্রায় ১৫ লাখ মিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করে এবং প্রযুক্তি বিভাগ প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে হিলিয়াম গ্যাস উৎপাদন এবং গত তিন বছরে ৫০০টি বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সাফল্যের ঘোষণা দিয়েছে। এটি ইরানের জন্য বিরাট অর্জন।
ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, যদি ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ না করে, তাহলে তারা পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন করতে পারবে না। ফলস্বরূপ তারা রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল উৎপাদন করতে পারবে না।
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান বলেছেন, ইরানের জনগণের জীবনকে প্রভাবিত করার জন্য পারমাণবিক শিল্পের উন্নয়ন তাদের এজেন্ডায় রয়েছে। এটিই সংস্থার প্রধান কৌশল হিসেবে বিবেচিত। আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন অনুসারে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সূত্র : পার্সটুডে