ইসরাইলকে ত্যাগ করলে যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করবে ইরান

ইরান বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এবং পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি |সংগৃহীত

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, তেহরান কেবল তখনই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতার কথা বিবেচনা করবে যখন তারা এই অঞ্চলের জন্য তাদের নীতি পরিবর্তন করবে এবং ইসরাইলকে সমর্থন করা বন্ধ করবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) খামেনি বলেন, ‘যদি তারা ইহুদিবাদী শাসনের প্রতি সমর্থন সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করে, এই অঞ্চল থেকে তাদের সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার করে এবং এই অঞ্চলে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকে, তাহলে এটি (সহযোগিতা) বিবেচনা করা যেতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্বভাব আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কিছুই গ্রহণ করে না।’

১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্রের তেহরান দূতাবাস দখলের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেছেন। ওই বিপ্লবে পশ্চিমা সমর্থিত সাবেক শাসক শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল।

চলতি বছরে জুনের মাঝামাঝি সময়ে ইরানে আকস্মিক বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। যার ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রও সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য যুদ্ধে অংশ নেয় এবং ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এই যুদ্ধে ইরানে ৯৩৫ জন এবং ইসরাইলে ২৪ জন নিহত হন।

১২ দিনের যুদ্ধে ইরানও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। ফলে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান পারমাণবিক আলোচনাও ভেস্তে যায়। পরে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় ২৪ জুন থেকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

ইরান বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এবং পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে।

সেপ্টেম্বরে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি এই প্রক্রিয়া শুরু করার পর জাতিসঙ্ঘ তথাকথিত ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থার অধীনে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে।

সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড