মিসরে গাজা শান্তি আলোচনার তৃতীয় দিনে যোগ দেবে কাতার ও তুরস্ক

বুধবার ট্রাম্পের বিশেষ মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ আলোচনায় যোগ দেবেন। কাতারের প্রধানমন্ত্রীও আলোচনায় অংশ নেবেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা |সংগৃহীত

গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে বুধবার (৮ অক্টোবর) তৃতীয় দিনের আলোচনায় মিসরে হামাস ও ইসরাইলি আলোচকদের সাথে যোগ দেবেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০-দফা পরিকল্পনার ভিত্তিতে মিসরের পর্যটন শহর শার্ম আল-শেখে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এর আগে, মঙ্গলবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কিছু করতে পারার সত্যিকারের সম্ভাবনা রয়েছে। আমি মনে করি, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা রয়েছে।এটি গাজার পরিস্থিতির চেয়েও বেশি কিছু। আমরা অবিলম্বে পণবন্দীদের মুক্তি চাই।’

তিনি জানান, মার্কিন আলোচকরাও আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, হামাস ও ইসরাইল যদি যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ‘সবাই যাতে চুক্তি মেনে চলে তা নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে’।

গাজা যুদ্ধ শেষ করার জন্য বিশ্বব্যাপী চাপ বেড়েছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির বেশিভাগ অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। এদিকে জাতিসঙ্ঘ অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে।

গত মাসে জাতিসঙ্ঘের একটি তদন্তে গাজায় ইসরাইলকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে অধিকার গোষ্ঠীগুলো ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য হামাসকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে। তবে উভয়পক্ষই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

হামাসের শীর্ষ আলোচক খলিল আল-হাইয়া বলেন, তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পৃষ্ঠপোষক দেশগুলোর কাছ থেকে যুদ্ধ চিরতরে শেষ হওয়ার গ্যারান্টি চায়।

ট্রাম্পের পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি, সব পণব্ন্দীদের মুক্তি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ ও গাজা থেকে ধীরে ধীরে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই পরিকল্পনা ইসরাইল ও হামাস উভয়ের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে এবং সোমবার থেকে মিসরে পরোক্ষ আলোচনা শুরু করেছে।

হামাসের আলোচক দলের ঘনিষ্ঠ একটি ফিলিস্তিনি সূত্র জানায়, মঙ্গলবারের অধিবেশনে হামাস ‘সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ইসরাইলি পক্ষের উপস্থাপিত প্রাথমিক মানচিত্র ও পণবন্দী-ফিলিস্তিনি বন্দী বিনিময়ের প্রক্রিয়া ও সময়সূচি’ নিয়ে আলোচনা করেছে।

মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি জানান, বুধবার ট্রাম্পের বিশেষ মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ আলোচনায় যোগ দেবেন। তিনি বলেন, ‘এই পর্যায়ে সাফল্যের প্রাথমিক গ্যারান্টি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই।’

কাতার জানিয়েছে, তাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল সানি উপস্থিত থাকবেন। অন্যদিকে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন মিসরগামী একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

সূত্র : বাসস