কারাগারে ফাতাহ নেতা মারওয়ান বারগুছির পাঁজরের ৪ হাড় ভেঙ্গে ফেলল ইসরাইল

ইসরাইলি কারাগারে বন্দী আছেন ফাতাহ আন্দোলনের নেতা মারওয়ান বারগুছি। গত সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। এ সময় তার পাঁজরের চারটি হাড় ভেঙ্গে ফেলা যায়; যাতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ফিলিস্তিনি ঐক্যের প্রতীক মারওয়ান বারগুছি
ফিলিস্তিনি ঐক্যের প্রতীক মারওয়ান বারগুছি |আল জাজিরা

ইসরাইলি কারাগারে বন্দী আছেন ফাতাহ আন্দোলনের নেতা মারওয়ান বারগুছি। গত সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। এ সময় তার পাঁজরের চারটি হাড় ভেঙ্গে ফেলা যায়; যাতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) ফিলিস্তিনি বন্দীদের তথ্য অফিস এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে।

বন্দীদের তথ্য অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত মাসের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় রিমন কারাগার থেকে মেগিদ্দো কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয় বারগুছিকে। এ সময় নাচশন ইউনিটের সদস্যরা তার উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালায়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এ সময় নাচশন ইউনিটের আটজন সদস্য একত্রে তার উপর নির্যাতন চালায়। এতে তার পাঁজরের চারটি হাড় ভেঙে যায়। আর তিনি হয়ে পড়েন অজ্ঞান।

এদিকে, ইসরাইল ও হামাসের মাঝে সম্প্রতি যে বন্দীবিনিময় চুক্তি হয়েছে, সেখানে হামাস জোরালোভাবে বারগুছির মুক্তির দাবি জানালেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল।

ইসরাইল কেন তাকে আটকে রাখতে চায়

ফাতাহ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বারগুছিকে গণ্য করা হয়। তিনি ২০০২ সাল থেকে ইসরাইলি কারাগারে রয়েছে। পাঁচবারে এ পর্যন্ত তার ৪০ বছরের জেল হয়েছে। ইসরাইলের অভিযোগ, তিনি কাতায়েব শুহাদা আল আকসা গঠন করেছেন। এই ব্রিগেডস দ্বিতীয় ইন্তেফাদার সময় সক্রিয় ছিল। তারা ইসরাইলের উপর সশস্ত্র হামলা করে অনেক ইসরাইলিকে হত্যা করে। এছাড়া আরো অনেককে আহত করেন।

বারগুছি ১৯৮৭ সালে হওয়া প্রথম ইন্তেফাদাতেও অংশ নিয়েছিল। ২০০০ সালের ইন্তেফাদাতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তাকে কয়েকবার বন্দী করে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। হত্যারও চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সবকিছু থেকেই তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করা হয়।

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দী রয়েছেন বারগুছি। এখনো তার মাঝে ফিলিস্তিনিদেরকে এক কাতারে ঐক্যবদ্ধ করার মতো ব্যক্তিত্ব রয়েছে।

সূত্র : আল জাজিরা