যে ‘ভুলের’ কারণে জীবন দিতে হলো হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে

ইরানসমর্থিত লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর শাহাদাতের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বরে তিনি ইসরাইলি হামলায় শাহাদাত বরণ করেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ
হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ |স্কাই নিউজ

ইরানসমর্থিত লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর শাহাদাতের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বরে তিনি ইসরাইলি হামলায় শাহাদাত বরণ করেন।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা হাসান নাসরুল্লাহকে শনাক্ত করা ও তার উপর হামলার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে যখন দখলদার বাহিনী হামলা চালিয়েছিল, তখন হাসান নাসরুল্লাহ জানতেই পারেননি যে তাদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে।

সূত্রটি আরো জানায়, হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান নিহত হওয়ার কয়েক দিন আগে তার গোপন আস্তানায়ই ছিলেন। এ সময়েই ইরানে পেজার হামলা হয়। যাতে অনেক ইরানি নেতৃবৃন্দ নিহত হয়। এর মধ্য দিয়ে তারা হিজবুল্লাহর মনোযোগ সরাতে সক্ষম হয়। আর তখনই হাসান নাসরুল্লাহর অবস্থান শনাক্ত করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। হিজবুল্লাহকে এ বিষয়ে কিছুই জানতে দেয়া হয়নি।

ইসরাইলি বাহিনীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যখন হাসান নাসরুল্লাহর উপর হামলা করা হয়, তখন তিনি তার সামরিক বাহিনীর পুনর্গঠনে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু ইসরাইলি বাহিনীর গভীর নজরদারির কারণে মুহূর্তের মধ্যে তার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।

ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করার জন্য তারা অনেক বছর ধরেই তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ সময় তারা গোপন আস্তানার ঠিক কোন জায়গায় হাসান নাসরুল্লাহ অবস্থান করেন, সেটিও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

তারা আরো জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ প্রধান মূলত দক্ষিণ বৈরুতের উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি গোপন বাঙ্কারে থাকতেন। সেখানে ইরানি টেকনোলজির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে হিজবুল্লাহ প্রধানের অবস্থান এতটাই গোপন রাখা হয়েছিল যে সংগঠনের ঊর্ধ্বতন লোকজনও সবাই তার অবস্থান জানতেন না।

২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর যখন ইসরাইলি বিমান বাহিনী হামলা চালানো হয়, তখন তারা বাঙ্কারের উপর ৮৩টি ভয়ঙ্কর বোমা নিক্ষেপ করে। যাতে ভূগর্ভস্থ সবধরনের নিরাপত্তা বলয় ভেঙ্গে টার্গেটে আঘাত হানা সহজ হয়। পরে এই হামলায় হাসান নাসরুল্লাহসহ আরো অনেক নেতা নিহত হয়।

এই হামলাকে ইসরাইলের জটিলতম হামলাগুলোর মধ্যে অন্যতম ধরা হয়।

সূত্র : স্কাই নিউজ