ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কারের পক্ষে ইইউ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কার জোরদারের পক্ষে মত দিয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ফিলিস্তিনি পতাকা
ফিলিস্তিনি পতাকা |সংগৃহীত

ব্রাসেলসে মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজা অঞ্চলের পুনর্গঠন, শাসনব্যবস্থা ও নিরাপত্তা বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রায় ৬০টি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কার জোরদারের পক্ষে মত দিয়েছে।

ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টার বাইরে থাকার পর ফিলিস্তিনিদের বৃহত্তম আর্থিক সমর্থক ২৭-জাতির জোট ইইউ আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চাইছে।

ইইউ’র ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের কমিশনার ডুব্রাভকা সুইকা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো—সেখানকার শাসনব্যবস্থা জোরদার করা, আর্থিক স্থিতিশীলতা আনা, জনগণের জন্য পরিষেবা উন্নত করা এবং সব অঞ্চলে ভবিষ্যতে কার্যকর শাসনব্যবস্থার জন্য পরিস্থিতি তৈরি করা।’

এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ ৮০ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি বা ৯২ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তায় স্বাক্ষর করেছে, যা ব্লকের বৃহত্তর সমর্থনের অংশ।

এই সহায়তা ইতোমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে।

সুইকা বলেন, ‘আমাদের আর্থিক সহায়তা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কার এজেন্ডার সাথে যুক্ত, যা অবশ্যই তারা বাস্তবায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ইইউ প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ‘আমরা পশ্চিমতীর ও গাজার অন্তর্বর্তীকালীন শাসনব্যবস্থাসহ অঞ্চলটিকে স্থিতিশীল করার জন্য সকল প্রচেষ্টা সমর্থন অব্যাহত রাখব।’

পশ্চিমতীরের কিছু অংশের ওপর সীমিত নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলেছে, ভবিষ্যতে গাজা পরিচালনায় তাদেরকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

২০০৭ সালে প্রতিদ্বন্দ্বী হামাস কর্তৃক ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ দখলের পর থেকে কর্তৃপক্ষের গাজার শাসনব্যবস্থায় কোনো ভূমিকা ছিল না। তবে এটি এখনো ভূখণ্ডে কিছু পরিষেবা প্রদান করে।

ট্রাম্পের পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, সংস্কারের একটি ধাপ সম্পন্ন করার পর গাজা পরিচালনায় পিএ-কে ভূমিকা পালনের অনুমতি দেয়া হবে।

তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় রামাল্লাহ-ভিত্তিক পিএ’র শাসনের প্রস্তাবটি প্রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন।

পিএ-এর প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা বলেন, ‘আমরা আজ স্পষ্ট হয়েছি যে গাজা ও পশ্চিমতীর একই রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক একক এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যেমনটি আমরা সব সময় ছিলাম।’

তিনি আরো বলেন, ‘একটি বৈধ সরকার, একটি আইন ও একটি প্রশাসনের অধীনে দুটিকে পুনর্মিলন করা কোনো স্লোগান নয়। বরং এটি স্থিতিশীলতার একমাত্র কার্যকর পথ।’

ইইউ’র দ্বিধা বিভক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলো গাজার সঙ্ঘাতজুড়ে প্রভাব বিস্তারের জন্য লড়াই করেছে।

ইইউ আরো বলেছে, ট্রাম্পের পরিকল্পনায় বৃহত্তর ভূমিকা পালনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, তারা গাজা উপত্যকায় ৩ হাজার ফিলিস্তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিতে চায়।

সূত্র : এএফপি/বাসস