ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে জাতিসঙ্ঘের সাত ইয়েমেনি কর্মীকে আটক করেছে হাউছি বিদ্রোহীরা।
হাউছির এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশটির রাজধানী সানা থেকে শুক্রবার এসব কর্মীকে আটক করা হয়। জাতিসঙ্ঘের কর্মীদের লক্ষ্য করে চালানো এটিই সর্বশেষ ধরপাকড়ের ঘটনা।
গত সপ্তাহের শুরুতে জাতিসঙ্ঘের একটি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের ২০ কর্মীকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন বিদেশী। আবার চলতি সপ্তাহের শুরুতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
হাউছি বিদ্রোহীরা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে জাতিসঙ্ঘ ও ত্রাণ সংস্থার কর্মীদের আটক করে আসছে। তবে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আটকের ঘটনা বেড়েছে।
সানা’র এক নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, ‘গতরাত থেকে আজ বিকেল (স্থানীয় সময়) পর্যন্ত জাতিসঙ্ঘের সাত কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই ইয়েমেনি নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।’
এদিকে হাউছি বিদ্রোহীদের আরেকটি সূত্র জাতিসঙ্ঘ কর্মীদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সংখ্যা জানায়নি।
শুক্রবার জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র ফারহান হক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, আগের দিন তাদের দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে জাতিসঙ্ঘের ৫৫ কর্মী হাউছিদের হেফাজতে আছে।
ফারহান হক বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনার কারণে হাউছি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজের পদ্ধতি নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।’
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হাউছি বিরোধী ইয়েমেন সরকার নতুন এই আটকের নিন্দা জানিয়েছে। তারা একে উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ বলেও বর্ণনা করেছে।
হাউছিরা মূলত ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী ইরানঘেঁষা ‘প্রতিরোধ জোটের’ অংশ। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তারা প্রায়ই লোহিত সাগরে জাহাজ ও ইসরাইলি ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে আসছে। তারা একে এটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে।
হাউছিদের লক্ষ্য করে ইসরাইলও একাধিক পাল্টা হামলা চালিয়েছে। আগস্টে এক বড় হামলায় হাউছি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার প্রায় অর্ধেক সদস্য নিহত হন।
এদিকে জাতিসঙ্ঘ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ইয়েমেনে তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সানা থেকে সরিয়ে অন্তর্বর্তী রাজধানী এডেনে স্থানান্তর করে।
সূত্র : এএফপি/বাসস



