হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ও গাজার শাসন ছাড়তে কাতার, সৌদি, মিসরের আহ্বান

এর আগে, সোমবার জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে ইসরাইল ও হামাস উভয়কেই গাজা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। যাতে উপকূলবর্তী এ অঞ্চলটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হতে পারে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
জাতিসঙ্ঘে আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসঙ্ঘে আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী |সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ থামাতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হামাসের শাসনের অবসান ঘটানোর পাশাপাশি এর নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে কাতার, সৌদি আরব ও মিসরসহ একাধিক আরব দেশ।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরে একটি উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সম্মেলনে গৃহীত সাত পৃষ্ঠার একটি ঘোষণাপত্রে এ আহ্বান জানানো হয়। ঘোষণাপত্রটিকে সমর্থন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব লিগসহ ১৭টি দেশ।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘গাজায় যুদ্ধ অবসানের প্রেক্ষাপটে, হামাসকে অবশ্যই গাজায় তাদের শাসনের অবসান ঘটাতে হবে এবং একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা এবং সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের অস্ত্র হস্তান্তর করতে হবে।’

এর আগে, সোমবার জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে ইসরাইল ও হামাস উভয়কেই গাজা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। যাতে উপকূলবর্তী এ অঞ্চলটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হতে পারে।

সৌদি আরবের সাথে সম্মেলনের সহ-সভাপতিত্বকারী ফ্রান্স এই ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক ও অভূতপূর্ব’ বলে অভিহিত করেছে। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারো বলেন, ‘প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো হামাসের নিন্দা জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে, হামাসের নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি শাসনব্যবস্থা থেকে তাদের বাদ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার তাদের অভিপ্রায় স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে।’

ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছে। এতে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গাজাকে স্থিতিশীল করার জন্য বিদেশী সেনা মোতায়েনের সম্ভাব্য আহ্বানও জানানো হয়েছে। ইসরাইল ও তার মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র এই সম্মেলনে অংশ নেয়নি।

সূত্র : এএফপি