গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা : হামাস

গাজায় ইসরাইলের নিয়মিত হামলার কারণে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের কার্যকারিতা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের ইসরাইলকে চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ইসরাইলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাজা
ইসরাইলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাজা |সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির কার্যকারিতা হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। হামাস বলছে, ইসরাইল চুক্তি লঙ্ঘন করে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে এবং হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এতে চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের অগ্রগতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় হামাসের গাজা প্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেন, আগের দিন গাজায় ইসরাইলি হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদ নিহত হয়েছেন।

খলিল আল-হাইয়া বলেন, ‘ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ধারাবাহিক লঙ্ঘন এবং সাদসহ অন্যদের লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড এই চুক্তির কার্যকারিতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।‘

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে এবং তাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে বাধ্য করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

অক্টোবরের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে সামরিক তৎপরতা বন্ধ রাখা, বন্দীদের এবং নিহতদের লাশ বিনিময় এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেয়ার কথা ছিল। এসব শর্ত পূরণ হলে দ্বিতীয় ধাপে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর নিরস্ত্রীকরণ এবং যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি শুরু হতে পারত।

তবে গাজা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরাইল গাজায় প্রতিদিন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসময় প্রায় ৮০০টি হামলায় প্রায় ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। একই সাথে মানবিক সহায়তা অবাধে প্রবেশেও বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এদিকে, ইসরাইল বলছে, রান গিভিলির লাশ ফেরত না আসা পর্যন্ত তারা পরবর্তী ধাপে যাবে না।

সূত্র : আল জাজিরা