ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় এগিয়ে নিতে মধ্যস্থতাকারীরা কাজ করছেন বলে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) জানিয়েছে কাতার।
দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, ‘(ইসরাইলি) চুক্তি লঙ্ঘনের ফলে উদ্বেগের সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমান যুদ্ধবিরতি যাতে ভেঙে না পড়ে তা নিশ্চিত করার জন্য মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি সর্তক করে বলেছেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রতিটি লঙ্ঘন চুক্তির জন্য হুমকি এবং এর প্রভাবকে তা দুর্বল করে তোলে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে। আমরা এর ওপর ভিত্তি করে কাজ করছি, এবং আমরা এটিকে চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি।’
ইসরাইল তার সব পণবন্দীর লাশ গ্রহণের আগ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করবে না বলে জানিয়েছে। তাদের দাবি, দুই ইসরাইলি পণবন্দীর লাশ এখনো গাজায় রয়েছে। অন্যদিকে হামাস বলছে, তারা জীবিত ২০ জন ইসরাইলি পণবন্দী এবং নিহত ২৮ জনের লাশ হস্তান্তর করেছে।
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার অধীনে ১০ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিভাগই নারী ও শিশু। এছাড়াও এক লাখ ৭১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
চুক্তির আওতায় যেসব এলাকা ইসরাইলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেই, সেখানে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়ে বারবার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে তারা। অন্যদিকে হামাস চুক্তির শর্তাবলীর প্রতি তাদের পূর্ণ প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে এবং ইসরাইলকে তা মেনে চলার জন্য চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩৫৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি



