অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসরাইলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন : নেতানিয়াহু

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী টনি বার্ক বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার সাথে যোগ দিয়ে অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ কারণে নেতানিয়াহু ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু |সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার এবং অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়কে ‘পরিত্যাগ’ করার অভিযোগ এনেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত কয়েক দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে তিনি এই অভিযোগ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইতিহাস অ্যান্থনি আলবানিজকে ‘একজন দুর্বল রাজনীতিবিদ’ হিসেবে মনে রাখবে।

এর আগে, সোমবার নেতানিয়াহুর ক্ষমতাসীন জোটের এক কট্টরপন্থী সদস্যকে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ইসরাইল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিল করে।

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী টনি বার্ক বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার সাথে যোগ দিয়ে অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ কারণে নেতানিয়াহু ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।

বুধবার অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে তিনি বলেন, ’শক্তি মানেই আপনি কতজন মানুষকে বোমা মেরে উড়িয়ে দিলেন বা কতজনকে অভুক্ত রাখলেন, তা নয়।’

এদিকে নেতানিয়াহুর মন্তব্যের সমালোচনা করে ইসরাইলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘এসব মন্তব্য আসলে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি উপহার। আজ গণতান্ত্রিক বিশ্বে নেতানিয়াহুর সাথে মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি একজন নেতাকে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী করে তোলে। তিনি পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত রাজনীতিক। এটা স্পষ্ট নয়, তিনি কেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে এই উপহার দেয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছেন।’

সোমবার কট্টর ডানপন্থী ইসরাইলি রাজনীতিবিদ সিমচা রথম্যানের অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বাতিলের পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অস্ট্রেলিয়ান জিউইশ অ্যাসোসিয়েশন (এজেএ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়ার কথা ছিল রথম্যানের।

সেই সময় বার্ক স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘সরকার বিভেদ ছড়াতে চাওয়া মানুষদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আপনি যদি ঘৃণা ও বিভাজনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন, তাহলে আমরা আপনাকে এখানে চাই না।’

গত বছরও বার্ক ইসরাইলের সাবেক বিচারমন্ত্রী আয়েলেত শাকেদের ভিসা বাতিল করেছিলেন। ২০২২ সালে তিনি ইসরাইলের পার্লামেন্ট ছেড়ে যান।

রথম্যানের ভিসা বাতিলের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর, ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার বলেন, তিনি ক্যানবেরায় অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো সরকারি ভিসার আবেদন খুব সতর্কভাবে পরীক্ষা করা হয়।

সূত্র : বিবিসি