ঐতিহাসিক সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

এটি ১৯৪৬ সালে সিরিয়া স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো কোনো সিরিয়ান প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও |সংগৃহীত

ঐতিহাসিক সফরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা শনিবার (৮ নভেস্বর) যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। ওয়াশিংটন সন্ত্রাসবাদের কালো তালিকা থেকে তাকে বাদ দেয়ার একদিন পর তিনি এ সফর করছেন।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তিনি বৈঠক করবেন। গত বছর আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে বিদ্রোহী যোদ্ধারা সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি ১৯৪৬ সালে সিরিয়া স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো কোনো সিরিয়ান প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর। গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আঞ্চলিক সফরের সময় সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট প্রথমবারের মতো রিয়াদে ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করেন।

সিরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক এই মাসের শুরুতে বলেছিলেন, তিনি আশা করছেন আহমেদ আল-শারা ইসলামিক স্টেটের (আইএস)-এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটে যোগদানের জন্য একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

সিরিয়ার একটি কূটনৈতিক সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ‘মানবিক সহায়তা সমন্বয় এবং সিরিয়া ও ইসরাইলের মধ্যে উন্নয়ন পর্যবেক্ষণের জন্য’ দামেস্কের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে, শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর শারার নাম সন্ত্রাসবাদের কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যা অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল।

পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র টমি পিগট বলেন, শারার সরকার নিখোঁজ মার্কিন নাগরিকদের খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছেন এবং অবশিষ্ট রাসায়নিক অস্ত্র নির্মূল করার জন্য মার্কিন দাবি পূরণ করছেন।

সূত্র : বাসস