জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও ইসরাইল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গাজায় আরো ৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি স্টেডিয়ামে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর ওপর চালানো হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজন নারী ও দুই শিশু রয়েছে।
ইসরাইলি বাহিনীর হামলা থেকে পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিদের জন্য আল-আহলি স্টেডিয়ামে অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে পরিণতত হয়েছে। বুধবার সেখানেই হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
নাজওয়া নামের এক নারী বলেন, ‘আমার হাতে যা ছিল তাই নিয়ে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের আর কিছুই বাকি নেই। আমরা আতঙ্কে আছি। যাতায়াত করাটাও ব্যয়বহুল। আমাদের জিনিসপত্র আনার সামর্থ্যও নেই।’
জাতিসঙ্ঘ সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী ‘গাজা সিটিতে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং হাজার হাজার মানুষকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করছে’। এদিকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর প্রধান ইয়াল জামির দাবি করেছেন, ফিলিস্তিনিদের ‘নিরাপত্তার জন্য’ দক্ষিণ দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু জাতিসঙ্ঘের তদন্তকারীরা সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই সপ্তাহে একটি তদন্ত কমিশন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে ইসরাইলের লক্ষ্য গাজার ওপর স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা এবং অধিকৃত পশ্চিমতীর ও ইসরাইলের অভ্যন্তরে ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করা।
জামির আরো বলেন, ‘অধিকাংশ বাসিন্দা ইতোমধ্যেই গাজা সিটি ছেড়ে চলে গেছে’ এবং সেনাবাহিনী সেখানকার অভিযানে আরো অগ্রসর হবে।
গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ৬৫ হাজার ৪১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ৬৭ হাজার ১৬০ জন আহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
অপরদিকে, নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন নিয়ে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা