ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোকে খণ্ডবিখণ্ড করতে চাইছে : তুর্কি বিশেষজ্ঞ

ইসরাইল এই অঞ্চলে শক্তিশালী কোনো মুসলিম রাষ্ট্র চায় না। তারা ইরাক ও সিরিয়ার মতো ইরান ও তুরস্ককেও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
তুরস্ক-ইরান পতাকা
তুরস্ক-ইরান পতাকা |পার্সটুডে

একজন তুর্কি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ইসরাইল এই অঞ্চলে শক্তিশালী কোনো মুসলিম রাষ্ট্র চায় না। তারা ইরাক ও সিরিয়ার মতো ইরান ও তুরস্ককেও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে।

লেভেন্ট গুলতেকিন তার ইউটিউব পেজে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে যোগ করেছেন, ইরান ইস্যু পশ্চিম এশিয়ার অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি, যার মধ্যে তুরস্কও রয়েছে।

তিনি আরো বলেছেন, ইসরাইল এবং তার মিত্ররা তাদের নতুন পরিকল্পনায় প্রথমে ইরাক এবং তারপরে সিরিয়াকে ভেঙে দিয়েছে এবং বছরের পর বছর ধরে দাবি করে আসছে যে ইরান ও তুরস্কের ব্যাপারে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

ইরান ও তুরস্ক এখন এই বাস্তবতার মুখোমুখি উল্লেখ করে তুর্কি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আরো বলেছেন, মনে হচ্ছে এই কারণেই সবাই গাজা শান্তি চু্ক্তিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু তারপরও ইসরাইল তাদের মূল প্রকল্প অর্থাৎ এই অঞ্চলের শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে খণ্ডবিখণ্ড করার চেষ্টা থেকে সরে আসেনি।

তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরাইল মনে করে যে গাজা সমস্যা যেভাবেই হোক সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু ইরাক ও সিরিয়ার পরে এখন এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো তাদের টার্গেটে রয়েছে।

এই তুর্কি বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, ইরানের প্রতি আমেরিকা ও ইসরাইলের মধ্যে শত্রুতা আবার বেড়েছে। তিনি বলেছেন, এমনই এক পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসাসূচক বক্তব্য খুবই চিন্তার বিষয়।

বর্তমান সময়ে এরদোগানের সাথে আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে গুলতেকিন আরো বলেন, ট্রাম্প যে প্রতিটি বক্তৃতায় এরদোগানের প্রশংসা করেন, সেখানে তিনি তুর্কি সেনাবাহিনীর শক্তি বাড়ানোর উপরও জোর দেন।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি বক্তৃতায় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে তুরস্কের একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে এবং সিরিয়ার সমস্যা সমাধানসহ অবিশ্বাস্য বিজয় অর্জন করেছে।

এই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলিরা ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্য’ নামক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সরে আসেনি এবং এরপর ইরান ও তুরস্ক ইসরাইলের পরিকল্পনায় রয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানে ইসরাইলের মূল লক্ষ্য মোটেও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করা নয়, বরং ইরানকে কমপক্ষে তিন বা চারটি ভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা।

গুলতেকিন পূর্বে বলেছিলেন, ইরানি জাতি এই অঞ্চলে দেশপ্রেমের এক অনন্য মডেল এবং এই অঞ্চলের জনগণের ইরানিদের থেকে তাদের মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা নেয়া উচিত।

সূত্র : পার্সটুডে