ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে সংলাপে আন্তরিক নয় রাশিয়া, এমন অভিযোগে বুদাপেস্টে শীর্ষ সম্মেলন বাতিল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মাঝে ইউক্রেন বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও রাশিয়ার প্রধান কূটনীতিক সের্গেই ল্যাভরভের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাঝে কথাবার্তা হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বুদাপেস্টের বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে পুতিন সংলাপের জন্য মোটেই প্রস্তুত নন। বরং তিনি যুদ্ধ বন্ধের চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য ইউক্রেনের আরো কিছু জায়গা দখলে নিতে চান।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, কিছুদিন আগে হাঙ্গেরির রাজধানীতে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন ট্রাম্প ও পুতিন। সেখানে যুদ্ধ বন্ধের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। পরে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনের কাছে একটি নোটলিপি পাঠানো হয়। সেখানে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।
প্রস্তাবনাতে রয়েছে, যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে ইউক্রেনকে তাদের কিছু অঞ্চল ছেড়ে দিতে হবে; সশস্ত্র বাহিনীর পরিমাণ খাটো করতে হবে; ন্যাটোর সাথে সংযুক্ত না হওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
গত শনিবার ট্রাম্প বলেছিলেন যে যদি রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে ইতিবাচক হয়, তাহলে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বললেবন। এ না হলে তার সাথে আর কোনো সংলাপে বসতে চান না।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্যে নিন্দা জানিয়েছে ক্রেমলিন। তারা বলেছে, এর মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ে সংলাপের চেষ্টাকে ব্যাহত করছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন শান্তি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে তারা মস্কোর চাহিদা অনুযায়ী ভূমি ছাড়তে রাজি নয়।
সূত্র : ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস



