তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোয়ান আজ শনিবার সতর্ক করে বলেছেন, কৃষ্ণসাগর যেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ‘সঙ্ঘাতের এলাকা’তে পরিণত না হয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে একাধিক হামলার পর তিনি এ সতর্কবার্তা দিলেন।
এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কৃষ্ণসাগরকে সঙ্ঘাতের এলাকা হিসেবে দেখা উচিত নয়। এটি রাশিয়া বা ইউক্রেনের কারও জন্যই লাভজনক হবে না। কৃষ্ণসাগরে সবার নিরাপদ নৌযাত্রা প্রয়োজন।’
গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাশিয়ার একটি বিমান হামলায় ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চল ওডেসার একটি বন্দরে তুরস্কের মালিকানাধীন একটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তুর্কমেনিস্তানে একটি শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে এরদোয়ান ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি উত্থাপন করার কয়েক ঘণ্টা পরই এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এরদোয়ানের দফতরের বরাতে জানানো হয়, পুতিনের সাথে সরাসরি আলোচনায় তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বন্দর ও জ্বালানি স্থাপনায় হামলার বিষয়ে একটি সীমিত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
এরদোয়ান জানান, ‘পুতিনের সাথে তার আলোচনার মূল বিষয় ছিল যুদ্ধ ও শান্তি প্রচেষ্টা।’ তিনি আরো বলেন, এই বিষয়ে তুরস্কের অবস্থান কী, অন্য সব পক্ষের মতো পুতিনও তা খুব ভালোভাবেই জানেন।
এরদোয়ান বলেন, পুতিনের সাথে এই বৈঠকের পর আমরা আশা করছি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট (ডোনাল্ড) ট্রাম্পের সাথেও শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাব।
এরদোয়ান বলেন, শান্তি খুব দূরে নয়, আমরা তা দেখতে পাচ্ছি।
যুদ্ধকালীন মস্কো ও কিয়েভ-উভয়ের সাথেই সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করা তুরস্ক বসফরাস প্রণালি নিয়ন্ত্রণ করে, যা ইউক্রেনীয় শস্য ও রুশ তেল ভূমধ্যসাগরে পরিবহনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ।
গত কয়েক সপ্তাহে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি তেলবাহী জাহাজও হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে, যার কিছু ছিল ড্রোন হামলা, এর দায় স্বীকার করেছে কিয়েভ।
এসব হামলার পর আঙ্কারা তীব্র সমালোচনা করে এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতদের তলব করে।
সূত্র : এএফপি/বাসস



