ফিলিস্তিনি বন্দীদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, ইসরাইলের সাবেক প্রসিকিউটর গ্রেফতার

ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁসের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছিল। সে সময় মেজর জেনারেল ইফাত তোমের-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
মেজর জেনারেল ইফাত তোমের-ইয়েরুশালমি
মেজর জেনারেল ইফাত তোমের-ইয়েরুশালমি |সংগৃহীত

ইসরাইলের পুলিশ দেশটির সেনাবাহিনীর একজন সাবেক প্রসিকিউটরকে গ্রেফতার করেছে। একজন ফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর ইসরাইলের সেনা সদস্যদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা-বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, মেজর জেনারেল ইফাত তোমের-ইয়েরুশালমিকে সোমবার (৪ অক্টোবর) রাতে আটক করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ওই ভিডিও ফাঁসের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছিল। সে সময় তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর নিখোঁজ ছিলেন।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভিডিও ফাঁসের ঘটনাকে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘জনসংযোগের ওপর সবচেয়ে তীব্র আক্রমণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।

অধিকৃত পশ্চিমতীরের রামাল্লাহ থেকে আল জাজিরার নুর ওদেহ বলেন, তোমের-ইয়েরুশালমির গ্রেফতার ‘ইসরাইলে রাজনৈতিক ও আইনি ঝড়’ তৈরি করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, তথ্য ফাঁসকারীর ওপর মনোযোগ দেয়ায় মূল অপরাধ চাপা পড়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই অপরাধ কিভাবে ঘটেছিল তা নিয়ে আলোচনা করার পরিবর্তে ভিডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনাটি বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। জাতিসঙ্ঘ বলছে, এই ধরনের অপরাধগুলো একটি পরিকল্পিত পদ্ধতিতে সংঘটিত হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই অপরাধগুলো যে ঘটছে তার থেকে মনোযোগ সরাতে এই নারী এবং তিনি যে ভিডিওটি ফাঁস করেছেন তার মনোযোগ দেয়া হচ্ছে।’

ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর নির্যাতনের খবর বহু বছর ধরেই প্রচার হয়ে আসছে। কিন্তু গাজায় ইসরাইলের সর্বশেষ যুদ্ধের পর থেকে তা বেড়েছে। এমনকি কিছু ইসরাইলি রাজনীতিবিদও এই নির্যাতনের পক্ষে কথা বলেছেন।

জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি কারাগারে কমপক্ষে ৭৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দী নিহত হয়েছেন।

এমনকি ইসরাইলের ফেরত দেয়া ফিলিস্তিনিদের লাশেও নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। অনেকের চোখ বাঁধা ও হাতকড়া পড়ানো ছিল। গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিছু লাশের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বা দাঁত ছিল না, আবার কিছু লাশের গায়ে পোড়া চিহ্ন ছিল।

সূত্র : আল জাজিরা