সুমুদ ফ্লোটিলায় মানবতাবাদী কর্মীদের নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের খবর প্রকাশের পর স্পেন আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আইনি মামলা দায়েরের ঘোষণা দিয়েছে।
একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপে স্পেন সরকার সুমুদ ফ্লোটিলায় তার নাগরিকদের ‘নির্যাতন ও অবৈধভাবে আটক’ করার ঘটনায় ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক বিচারের মুখোমুখি করছে।
গাজার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া ৪০টিরও বেশি মানবিক সহায়তা বহনকারী জাহাজ বেষ্টিত সুমুদ ফ্লোটিলায় কয়েক ডজন স্প্যানিশ কর্মী ইহুদিবাদীদের হাতে বন্দী থাকা অবস্থায় ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হন। এই বিষয়ক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে স্পেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফার্নান্দো গ্রান্ডে মারলাস্কা ইসরাইলি আটক কেন্দ্রগুলোতে সংঘটিত অপরাধগুলো প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (ICC) অপরাধীদের বিচারের জন্য আইনি প্রক্রিয়া পরিচালনার কথা ঘোষণা করেছেন।
সুমুদ ফ্লোটিলায় থাকা স্প্যানিশ কর্মীরা তাদেরকে ঘুম ও ওষুধ (ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইনসুলিনসহ) থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। এরপর স্পেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলসীমায় জলদস্যুতা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, স্পেন সরকার কেবল হেগ আদালতে হাজির হবে না। বরং অপরাধীদের বিচারের জন্য সমস্ত জাতীয় বিচারিক ক্ষমতাও ব্যবহার করবে।’
একই সময়ে স্প্যানিশ প্রসিকিউটরের কার্যালয় আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের লক্ষ্যে অপরাধের প্রমাণ সংরক্ষণের জন্য গাজায় ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধের নিজস্ব তদন্ত শুরু করেছে।
ইসরাইলি দখলদারদের সাথে স্পেনের বিচারিক সংঘর্ষ এমন সময় ঘটে যখন সুমুদ ফ্লোটিলা ১৮ বছরের অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে গাজা উপত্যকার দিকে যাচ্ছিল, যা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুসারে, অঞ্চলটিকে ‘উন্মুক্ত কারাগারে’ পরিণত করেছে।
সূত্র : পার্সটুডে