ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই গাজার বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু

বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও আংশিক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ভবনগুলোতে সশরীরে ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম আবারো শুরু হচ্ছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদের বড়সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরেছেন
চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদের বড়সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরেছেন |সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজা গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। দু’বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে।

গাজায় ইসরাইলের দুই বছরের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস। বন্ধ হয়েছে বিদ্যুৎসংযোগ। ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার মুখে বাস্তুচ্যুত হন বহু ফিলিস্তিনি। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সরাসরি ক্লাস নেয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয় এবং সীমিত পরিসরে অনলাইন ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করে।

দুই বছরের সামরিক আগ্রাসনে গাজার শিক্ষাগত অবকাঠামো ধ্বংস করেছে ইসরাইল। বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও আংশিক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ভবনগুলোতে সশরীরে ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম আবারো শুরু হচ্ছে।

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজার সভাপতি আসাদ ইউসুফ আসাদ বলেছেন, ‘আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। গণহত্যা ও নৃশংসতাকে পেছনে ফেলে আমরা আবারো সরাসরি পাঠদানে ফিরেছি। সবাই জানে ফিলিস্তিনিরা জীবন ও শিক্ষাকে ভালোবাসে।’

বিশ্ববিদ্যালয়টির সভাপতি আরো জানান, শনিবার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদের বড়সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরেছেন। শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি পরিকল্পনা চলছে বলেও জানান তিনি

গাজায় যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে চার হাজার শিক্ষার্থী রিমোট লার্নিংয়ের মাধ্যমে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো নতুন শিক্ষার্থী গ্রহণ করছে।

গাজা সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্যমতে, গত দুই বছর ধরে ইসরাইলি হামলায় প্রায় ১৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে এবং আরো ৩৯২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের কিছু অংশ এখনো শত শত বাস্তুচ্যুত পরিবারকে আশ্রয় দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি সমাধান খুঁজে বের করার এবং বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছে।

সূত্র : আল জাজিরা