মিসরের প্রধান কারী নিযুক্ত হলেন শায়খ আহমাদ আহমাদ নাঈনা

ড. নাঈনা ১৯৫৪ সালে মিসরের কাফরুশ শাইখ এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং কৈশোরেই কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। তার মিষ্টি ও আবেগপূর্ণ কণ্ঠস্বর মিসরসহ বিশ্বজুড়ে কোরআনপ্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশ সফরকালে বিশ্ববরেণ্য কারী শায়খ ড. আহমাদ আহমাদ নাঈনা। পাশে (ছবিতে বামে) বিশ্বখ্যাত বাংলাদেশী কারী শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী
বাংলাদেশ সফরকালে বিশ্ববরেণ্য কারী শায়খ ড. আহমাদ আহমাদ নাঈনা। পাশে (ছবিতে বামে) বিশ্বখ্যাত বাংলাদেশী কারী শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী |ভিডিও থেকে নেয়া ছবি

বিশ্ববিখ্যাত কারী শায়খ ড. আহমাদ আহমাদ নাঈনাকে মিসরের মিসরের প্রধান কারী (শাইখুল মাকারি আল-মিসরিয়্যাহ) পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দেশটির ধর্মমন্ত্রী ড. উসামা আল-আযহারীর সিদ্ধান্তে পবিত্র কোরআনের বর্ষীয়ান এই খাদেমকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়।

এই পদে শায়খ ড. আহমাদ আহমাদ নাঈনার নিয়োগ কোরআনের খেদমতে কয়েক দশকে তার বিশেষ অবদানের অনন্য স্বীকৃতি।

এ প্রসঙ্গে ড. নাঈনা বলেন, ‘আমি এই বিশ্বাস ও আস্থার জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে এই মহান দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করেন এবং রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির প্রজ্ঞাপূর্ণ নেতৃত্বে আমাদের প্রিয় দেশ মিসরকে নিরাপদ রাখেন।’

ধর্মমন্ত্রী তার প্রশংসা করে বলেন, ‘ড. আহমাদ নাঈনা বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ কারীদের অন্যতম, যিনি পবিত্র কোরআনের খেদমতে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।’

ড. নাঈনা ১৯৫৪ সালে মিসরের কাফরুশ শাইখ এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং কৈশোরেই কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। তার মিষ্টি ও আবেগপূর্ণ কণ্ঠস্বর মিসরসহ বিশ্বজুড়ে কোরআনপ্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়েছে। তিনি একাধিকবার বাংলাদেশ সফর করেছেন।

-আল-আহরাম অবলম্বনে মুহাম্মাদ তাওহীদুল ইসলাম আযহারী