ইয়েমেনে হাউছিদের অধীনে পরিচালিত একটি আদালত শনিবার ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ১৭ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে।
হাউছিদের সাবা বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, রাজধানী সানার আদালত ‘আমেরিকান, ইসরাইলি ও সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সম্পৃক্ত একটি গুপ্তচর নেটওয়ার্কের মধ্যে গুপ্তচরবৃত্তি’ সম্পর্কিত মামলায় ১৭ জনকে সাজা দিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, তাদের ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কিছু আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাসিত গাজী ফেসবুকে বলেছেন, তারা এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
সাজাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘২০২৪-২০২৫ সময়কালে ইয়েমেনের শত্রু দেশগুলোর সাথে যোগসাজশ এবং ওই দেশগুলোর কর্মকর্তা ও ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের মাধ্যমে তাদের স্বার্থের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করা।’
আসামিদের বিরুদ্ধে ‘বহু সংখ্যক নাগরিককে নিয়োগে উস্কানি ও শত্রু দেশগুলোকে সহায়তা করার অভিযোগও আনা হয়েছে। তাদের ওই উস্কানি ও সহায়তার কারণে বেশ কয়েকটি সামরিক, নিরাপত্তা ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় আর এর ফলে বেশ কয়েকজন লোক মারা গিয়েছিল ও ব্যাপক অবকাঠামো ধ্বংস হয়।’
একজন পুরুষ ও একজন নারীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল এবং একই মামলায় আরো একজনকে খালাস দেয়া হয়।
ইসরাইল গত দু’বছরে ইয়েমেনের লক্ষ্যবস্তুতে বারবার হামলা চালিয়েছে। আবার হাউছিরাও ইসরাইলের ওপর হামলা চালিয়েছে।
হাউছিদেররা বলেছে, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করার জন্যই তারা ইসরাইলের ওপর এই হামলাগুলো চালিয়েছে।
ইসরাইলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাউছিরা ইসরাইল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে।
আগস্টে এক হামলায় হাউছিদের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ গালেব নাসের আল-রাহাবি নিহত হওয়ার পর এই অভিযান আরো জোরদার করা হয়।
সূত্র : বাসস



