গাজায় বন্দী ইসরাইলিদের মুক্তি করে আনার দাবিতে দেশটির শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীদের বাড়িঘর অবরুদ্ধ করেছে বিক্ষোভকারীরা। রোববার সকাল থেকে তারা সেখানে অবস্থান নেয়।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আজ রোববার গাজায় গণহত্যার ৬৮৮তম দিন। এদিন সকাল থেকেই নেতানিয়াহু সরকারের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীদের বাড়ির সামনে জড়ো হতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। তারা এমন একটি চুক্তির দাবি জানায়, যা গাজায় বন্দী স্বজনদের ফিরিয়ে আনার নিশ্চয়তা প্রদান করে।
ইসরাইলি গণমাধ্যম সূত্রে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা ক্যাবিনেটের কয়েকজন মন্ত্রীর বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছে। এর মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী ও নেসেটের স্পিকার অন্যতম।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছে বন্দীদের পরিবার। সেখানে গাজায় বন্দী এক ইসরাইলির বাবা এহুদা কোহেন তার ছেলের মুক্তির জন্য চুক্তি করতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী টালবাহানা করছেন বলে দোষারোপ করেন। এ সময় তিনি দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হলে কাটজকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর প্রতি আনুগত্য কেবল সৈন্য ও বন্দীদের লাশের সারি দীর্ঘ করবে। সেজন্য এতটুকুতেই ক্ষ্যান্ত হন। এখন যুদ্ধের দরকার নেই। যেকোনো মূল্যেই হোক একটি চুক্তি করে ফেলুন।
অধিকৃত আসকালানে অবস্থান নেয়া দলে রয়েছে মিশাল লাভি। তিনি গাজায় বন্দী উমারি মিরানের শ্যালিকা। কৃষিমন্ত্রী আভি ডিকটরের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়া জমায়েতে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, মন্ত্রিপরিষদ গাজায় বন্দী ইসরাইলিদের ছবি প্রকাশ করুক। আমরা দেখতে চাই, তারা কেমন আছেন।’ তিনি নিজ ভগ্নিপতির বিষয়ে বলেন, ‘উমারি ভালো নেই।’ এ সময় তিনি ইসরাইলিদের প্রতি মন্ত্রীদের দায়িত্ববোধ পালনে তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী রন ডার্মারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ থেকে গাজায় নিহত ইতান তেশিনের মা তাকে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বন্দীদের পরিবারকে এড়িয়ে চলার অভিযোগ করেন। তিনি পরিকল্পনামন্ত্রীর স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার হৃদয় কোথায়? দায়িত্ব নেয়ার পর গত আট মাসে আপনার স্বামী একটিবারের জন্যও আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করেনি। আমরা এটি কোন দেশে বাস করি? ছি, ছি, ছি।
এ দিন বিক্ষোভকারীরা কুদস ও তেল আবিববের মাঝে সংযোগকারী একটি প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখে। যেন সরকার দ্রুত একটি বন্দীবিনিময় চুক্তিতে দ্রুত সম্মত হয়।
সূত্র : আল জাজিরা