ইসরাইলকে গাজার সীমান্ত ক্রসিংগুলো খুলে দেয়ার আহ্বান হামাসের

ইসরাইলকে গাজার সীমান্ত ক্রসিংগুলো খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
গাজা সীমান্তে ত্রাণের বহর
গাজা সীমান্তে ত্রাণের বহর |আল জাজিরা

ইসরাইলকে গাজার সীমান্ত ক্রসিংগুলো খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। বুধবার (১৫ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বুধবার ইসরাইলি পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে, ‘তারা যেন সীমান্ত ক্রসিংগুলো খুলে দেয় এবং দ্রুত অবরুদ্ধ জনপদগুলোতে ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ করে দেয়।’ এ সময় মার্কিন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে ইসরাইলের উপর চাপ প্রয়োগেরও আহ্বান জানায় মিডিয়া অফিস।

আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিডিয়া অফিস প্রধান ইসমাইল সাওয়াবা বলেন, ‘সীমান্ত ক্রসিংগুলো খুলে দেয়া হলে সর্বপ্রথম অসুস্থ ও আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো হবে।’ এ সময় তিনি গাজায় দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানোর উপরও জোর দেন।

তিনি বললেন, গত দুই বছর ধরে গাজাবাসী যে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের শিকার হয়েছে, যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পরও তা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, গাজায় এখন পানির সঙ্কট রয়ে গেছে।

সাওয়াবা বলেন, গাজায় এখনো প্রায় আড়াই লক্ষ্য টন বর্জ্য রয়েছে। এতে পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে। এসব বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য গাজা প্রশাসনের ভারি সরঞ্জামাদি প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, গত দুই বছর ধরে ইসরাইলি বাহিনী যে আগ্রাসন চালিয়েছে, এতে গাজার অন্তত ৮০০ কিলোমিটার পথ ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া এ সময় অন্তত ১৯০ জন শিক্ষা ক্যাডার ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক নিহত হয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, শোনা গিয়েছিল যে অল্প সময়ের মধ্যেই মিসরের সীমান্তঘেঁষা রাফা ক্রসিং দখলদারেরা খুলে দেবে। কিন্তু ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, রাফা ক্রসিং খুলে দেয়ার জন্য মাঠপর্যায়ে কাজ চলছে। তবে আজকে খোলা হবে না। কবে খোলা হবে, তাও নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

মার্কিন পরিকল্পনা অনুসারে হামাসের পক্ষ থেকে ইসরাইলিদের সকল বন্দীকে ফিরিয়ে দেয়া হলেই রাফা ক্রসিং খুলে দেয়া হবে। কিন্তু ইসরাইল এখন তা মান্য করছে না।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হয়েছিল গাজা যুদ্ধ। এতে অন্তত ৬৭ হাজার ৯১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ১৩৪ জন। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া ৪৬৩ জন ক্ষুধার যাতনায় নিহত হয়েছে; যাদের মধ্যে ১৫৭ জনই শিশু। এর বাইরে উপত্যকার নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, আবাসিক ভবন ও রাস্তাঘাটও বিপুল পরিমাণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।

সূত্র : আল জাজিরা