সিরিয়া ভাঙ্গনের দিকে এগিয়ে গেলে হস্তক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।
গত ১৩ জুলাই দক্ষিণ সিরিয়ার সুয়েইদা প্রদেশে সশস্ত্র উপজাতি এবং সশস্ত্র দ্রুজদের মধ্যে সঙ্ঘর্ষ শুরু হওয়ার পর উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। দ্রুজদের সহায়তা দেয়ার দাবি করে ইসরাইলি রেজিম সুয়েইদা প্রদেশের দিকে অগ্রসর হতে-থাকা সিরিয়ার সামরিক যানবাহনের উপর হামলা শুরু করে।
ইসরাইলি রেজিম ১৬ জুলাই দামেস্কের কয়েকটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থান বা স্থাপনায় বোমা বর্ষণ করে। এসবের মধ্যে ছিল সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড সেন্টার। এসব হামলাকে ইসরাইল দামেস্কের প্রতি সরাসরি বার্তা বলে উল্লেখ করে। এসব হামলার পর সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেই দিনই যুদ্ধ-বিরতির সমঝোতা অনুযায়ী গোটা সুয়েইদা প্রদেশ থেকে সরকারি সিরীয় বাহিনী ফিরিয়ে আনার খবর দেয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়াকে ভেঙ্গে ফেলার লক্ষ্য নিয়েই ইসরাইল সিরিয়ায় সম্প্রতি হামলা চালিয়েছে। মেহের বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে পার্স-টুডে জানিয়েছে, সিরিয়া যদি ভেঙ্গে যাওয়ার পথে ও অশান্তির দিকে এগিয়ে যায় তাহলে হস্তক্ষেপ করব বলে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এল সালভেদরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেক্সান্দ্রা হিলের সাথে এক সংবাদ-সম্মেলনে ফিদান এ প্রসঙ্গে আরো বলেছেন, সিরিয়ার গোষ্ঠীগুলো যদি দেশটির ভাঙ্গন ও অস্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর হয় তাহলে তুরস্ক এ বিষয়কে নিজের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করবে এবং এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে।
তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ইসরাইল এ অঞ্চলকে দুর্বল রাখতে চায় এবং এ অঞ্চলে অশান্তি জিইয়ে রাখতে চায়; কারণ ইসরাইল তার আশপাশের কোনো দেশেই শান্তি দেখতে আগ্রহী নয়। আর এ কারণেই সিরিয়াতে কয়েকটি নতুন রাষ্ট্র সৃষ্টি করতে চায়।
সূত্র : পার্সটুডে