জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজার স্কুলগুলো এখন উপত্যকার শিশুদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। যদিও তাদের প্রতিটি পাঠে রয়েছে দুর্ভিক্ষের ছাপ।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘গাজায় এতো ধ্বংসযজ্ঞের মাঝেও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে।’ এত বিপর্যয়ের মাঝেও যেসব শিক্ষকবৃন্দ তাদের শিক্ষাদান অব্যাহত রেখেছে, সংস্থাটি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
কিপ আস লার্নিং ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, লীন নামের একটি শিশু বর্ণনা দিচ্ছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তার জীবনমান কিভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে।
শিশু বলেছে, আমি সর্বশেষ যেদিন স্কুলে গিয়েছিলাম, তখন আমি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তাম। আমার একটি বাড়ি ছিল। ছিল বন্ধু-বান্ধব। এখন আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। কিন্তু এখন আমার বাড়ি নেই; স্কুল নেই। আমি সব হারিয়েছি। কিন্তু আমি পড়াশোনা ছাড়তে পারবো না। কারণ, আমি পড়াশোনাকে খুব ভালোবাসি।
লীন জানিয়েছে, দীর্ঘদিন পানি খোঁজা, কাঠ কেনা কিংবা খাবার অন্বেষণের পর এখন শিশুটি অনলাইনে পড়াশোনার জন্য তার ফোনে চার্জ দিচ্ছে।
ইউএনআরডব্লিউ আহ্বান জানিয়েছে, যেন ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিশুদের মানসম্মত পড়াশোনার জন্য সমর্থন ও সহায়তা দেয়া হয়। তাদের কিপ আস লার্নিং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অনুদানের আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা