পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর দখল করে সামরিক ব্যারাকে পরিণত করছে ইসরাইল। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতেমার বেন গাভির মঙ্গলবার আইন ভঙ্গ করে আল আকসা মসজিদে অনুপ্রবেশ করেন। এ সময় দখলদার বাহিনী পশ্চিমতীরের বিভিন্ন শহর ও জনপদে অভিযান চালায়। তারা ফিলিস্তিনিদের উপর আক্রমণ করে এবং বিভিন্ন ঘর-বাড়িকে সামরিক ব্যারাকে পরিণত করে।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, বেন গাভির এক সপ্তাহে দু’বার নিয়ম ভঙ্গ করে আল আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছেন। এ সময় তিনি অনেক অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। তারা সেখানে ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পালন করেছে। আর তাদেরকে সুরক্ষা দিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ বাহিনী। তারা মুসলমানদেরকেও মসজিদে প্রবেশ করতে দেয়নি।
গত সপ্তাহের বুধবারেও আইন ভঙ্গ করে মসজিদে আকসায় প্রবেশ করেছিলেন বেন গাভির। তখন তার সঙ্গে ছিল সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আমিচাই এলিয়াহু এবং নেসেট সদস্য ইতজাক ক্রোইজার। তারা সেখানে ঈদুল আরশ উদযাপন করেছিলেন। ওই সময় তাদের সাথে ৭ হাজার ১১৯ জন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ছিল।
এদিক, অধিকৃত কুদস নগরীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কালান্দিয়া ক্যাম্পে হামলা করে ইসরাইলি বাহিনী। সেখানে তারা যুবকদের লক্ষ্য গুলি ও কাঁদানি গ্যাস নিক্ষেপ করে।
একই সময় নাবলুস ও পশ্চিমতীরের উত্তরাঞ্চলে নতুন ও পুরাতন আকসার ক্যাম্প এবং পূর্বাঞ্চলের বালাতা ক্যাম্পে অভিযান চালায়। তারা পথে পথে টহল দেয়। অবশ্য সেখানে কোনো ধরনের গুলি বর্ষণ বা আটকের ঘটনা ঘটেনি।
পশ্চিমতীরের মধ্যাঞ্চলের রামাল্লা এলাকার কয়েকটি জনপদে হামলা করেছে ইসরাইল। এর মধ্যে দেইর ইবজি, আইন আরিক এবং নিলিনসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। এসব এলাকার কিছু মানুষকে মাঠপর্যায়ের তদন্তের জন্য ডাকা হয়।
রামাল্লার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বালতিনে হামলার সময় কয়েকজন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী একটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন জায়গা-জমি ও বাড়িঘরে হামলা চালায়।
বীরা অঞ্চলে দখলদার বাহিনী ঢুকে কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। দক্ষিণাঞ্চলীয় খলিল শহরে ইজনা ও কুম এলাকায় হামলা চালায়। এ সময় মালিককে তাড়িয়ে কয়েকটি বাড়িঘর সামরিক ব্যারাকে পরিণত করে।
দখলদার বাহিনী এসব এলাকার প্রবেশ পথে বিষাক্ত গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। ফলে ছেলেদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
সূত্র : আল জাজিরা