গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে জাতিসঙ্ঘ আদালতের নির্দেশ

আইসিজের সভাপতি ইউজি ইওয়াসাওয়া বলেন, জাতিসঙ্ঘ ও এর বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা ও তা সহজ করতে ইসরাইল বাধ্য।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

জাতিসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বুধবার (২২ অক্টোবর) এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরাইল বাধা দিতে পারবে না এবং ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে হবে।

হেগ থেকে এএফপি জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে হওয়া অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সুযোগে মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে।

এদিকে আইসিজে জানিয়েছে, আদালতের এই অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক রায় আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক না হলেও এর রয়েছে ‘বড় ধরনের আইনি ও নৈতিক গুরুত্ব।’ তবে ইসরাইল রায়টি সাথে সাথে প্রত্যাখ্যান করেছে।

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আমি আশা করি, ইসরাইল রায়টি মেনে চলবে।’

আইসিজের সভাপতি ইউজি ইওয়াসাওয়া বলেন, জাতিসঙ্ঘ ও এর বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা ও তা সহজ করতে ইসরাইল বাধ্য। এর মধ্যে রয়েছে জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ, যাকে ইসরাইল নিষিদ্ধ করেছে। ইসরাইলের দাবি, সংস্থাটির কিছু কর্মী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় অংশ নিয়েছিল।

তবে আদালত রায়ে বলেছে, ইসরাইল এসব অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। এছাড়া ইসরাইল শুনানিতেও অংশ নেয়নি এবং রায় প্রকাশের পরপরই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে, রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নরওয়ে ঘোষণা দেয়, ইসরাইল যেন গাজায় ত্রাণ প্রবেশে আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয় এমন একটি প্রস্তাব তারা জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করবে।

আইসিজের বিচারকরা বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাটিও বিবেচনা করছেন। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ড ১৯৪৮ সালের জাতিসঙ্ঘের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে।

অন্যদিকে, হেগের আরেক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

সূত্র : বাসস