সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪৫তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা। এতে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা বলছেন, এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছানো তাদের জীবনের জন্য গর্ব ও সম্মানের বিষয়।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সৌদি প্রেস এজেন্সি এসপিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন বিশ্বের ১২৮টি দেশের ১৭৯ জন প্রতিযোগী, যা প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে অংশগ্রহণকারীদের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এবারের প্রতিযোগিতায় হিফজুল কোরআনের পাশাপাশি, সুরলিত কণ্ঠ ও তাফসিরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মক্কায় আগত প্রতিযোগীরা সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও ইলেকট্রনিক জাজিং সিস্টেমের প্রশংসা করেছেন। কানাডা থেকে আসা প্রতিযোগী মোহাম্মদ আল হাসান বলেন, ‘ইলেকট্রনিক জাজিং সিস্টেম প্রতিযোগিতার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে। আমি সৌদি মন্ত্রণালয়ের চমৎকার ব্যবস্থাপনার জন্য কৃতজ্ঞ।’
গিনি বিসাউয়ের প্রতিযোগী মোহাম্মদ জাওয়া বলেন, ‘মসজিদুল হারামের এত কাছাকাছি অবস্থান এবং সারা বিশ্ব থেকে আসা হাফেজদের সাথে সময় কাটানো আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। ফাইনাল রাউন্ড পর্যন্ত পৌঁছানো সত্যিই অনেক বড় সম্মানের বিষয়, বিশেষ করে এই প্রতিযোগিতা যখন বাদশাহ আব্দুল আজিজের নামে এবং বাদশাহ সালমানের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা থেকে আগত প্রতিযোগী আব্দুর রহমান আব্দুল মোনেম বলেন, ‘সৌদি আরবের ইসলামিক মন্ত্রণালয়ের সেবা ও ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ইলেকট্রনিক বিচার প্রক্রিয়া একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী উদ্যোগ।’
উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতাটির ফাইনাল পর্ব শুরু হয়েছে ৯ আগস্ট (শনিবার) এবং চলবে ছয় দিনব্যাপী। প্রতিদিন দুটি করে সেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিজয়ীদের জন্য রয়েছে মোট ৪০ লাখ রিয়াল পুরস্কার এবং অংশগ্রহণকারী সকলের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হবে ১০ লাখ রিয়ালের নগদ পুরস্কার।
এর আগে, ফাইনাল পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী শায়খ ড. আব্দুল লতিফ বিন আব্দুল আজিজ বলেছিলেন, ‘সৌদির সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান হলো পবিত্র কোরআনের সেবা করা এবং হাফেজদের সম্মান জানানো। এই ঐতিহ্য সৌদি আরব রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আব্দুল আজিজের রাজত্বকালে শুরু হয়ে বর্তমানে বাদশাহ সালমান এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট ও স্বচ্ছ মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে। সৌদি আরব, উগান্ডা, মরক্কো এবং আলবেনিয়ার বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক বিচারক প্যানেল নির্বাচন করা হয়েছে।’