ইরানের কূটনীতিকরা শুক্রবার জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের কূটনীতিকদের সাথে আবারো পরমাণু আলোচনা শুরু করছেন। আলোচনার মূল বিষয় ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির আওতায় জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা ‘স্ন্যাপব্যাক’ পুনরায় কার্যকর করার হুমকি।
ইস্তানবুল থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বৈঠকটি হবে ইরানের সাথে ইসরাইলের সংঘাতের পর প্রথম বৈঠক। ১২ দিনব্যাপী ওই সংঘাতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ইরানের শীর্ষ কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী ও শতাধিক সাধারণ মানুষ নিহত হন। এই হামলা এপ্রিল থেকে চলমান যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পারমাণবিক আলোচনা নিয়েও বাধা সৃষ্টি করেছে।
তখন থেকে ইউরোপের তিন শক্তিধর দেশ জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স (একত্রে ‘ই৩’ নামে পরিচিত) হুমকি দিয়ে আসছে যে তারা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির আওতায় জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা আবারো চালু করতে পারে। ‘স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম’ নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলতি আগস্টের শেষ নাগাদ ইরানের ওপর পুরনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া চালুর সুযোগ রয়েছে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত। তবে ই৩ দেশগুলো এই ব্যবস্থা চালু করলে তার পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে তেহরান।
একজন ইউরোপীয় কর্মকর্তা বলেন, ই৩ দেশগুলোর চুপচাপ বসে থাকার সুযোগ নেই। বৈঠকে তেহরানকে জানিয়ে দেয়া হবে, এই অক্টোবরেই ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থা চালুর সময়সীমা শেষ হবে।
সূত্রটি জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না হলে ইউরোপের দেশগুলো আবারো জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কমানো ও জাতিসঙ্ঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার সাথে সহযোগিতা আবার শুরু করতে।
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি সিনিয়র কূটনীতিক মাজিদ তাখত-রাভানচির সাথে শুক্রবারের আলোচনায় অংশ নেবেন।
সূত্র : বাসস