তুরস্কের কুর্দিপন্থী ডিইএম পার্টির সংসদ সদস্যরা কারাবন্দি কুর্দি নেতা আবদুল্লাহ ওজালানের সাথে সাক্ষাতের করার এক দিন পর সোমবার প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি ডিইএম পার্টি সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের সাথে ওজালানের সংলাপ পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পিকেকে প্রতিষ্ঠাতা ওজালান ১৯৯৯ সাল থেকে ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইস্তাম্বুলের কাছাকাছি ইমরালি দ্বীপে কারাবন্দী আছেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওজালান এক বার্তায় পিকেকেকে সশস্ত্র লড়াই বন্ধের এবং সংগঠনটি বিলুপ্ত করার আহ্বানও জানান। এর প্রেক্ষিতে মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে পিকেকে নিজেদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেয়, যার মধ্য দিয়ে চার দশকের এক রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে।
এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে।
ইস্তাম্বুল থেকে এএফপি জানায়, রোববার ডিইএম নেত্রী পেরভিন বুলদান, সাবেক সহসভাপতি মিসাত সানজার ও ওজালানের আইনজীবী ওজগুর ফাইখ এরোল ইমরালি দ্বীপে গিয়ে তার সাথে বৈঠক করেন।
সাক্ষাতের পর দলীয় বিবৃতিতে জানানো হয়, এই দুই এমপি সোমবার দুপুর ১২টা জিএমটি (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা) প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে এরদোগানের সাথে বৈঠকে বসবেন।
এই আলোচনার পটভূমিতে রয়েছে ইরাকি কুর্দিস্তানে পিকেকের সাবেক যোদ্ধাদের প্রথম দফা অস্ত্র ধ্বংসের প্রস্তুতি। এই প্রতীকী কার্যক্রম ১০ থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘এই নিরস্ত্রীকরণ শান্তি প্রক্রিয়ায় গতি আনবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, এরদোগান সরকার অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা অর্জন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে নতুন কূটনৈতিক পরিসরে প্রবেশের লক্ষ্যে কুর্দিশ ইস্যুতে ইতিবাচক বার্তা দিতে আগ্রহী।
পিকেকে ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে কুর্দিশ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র পিকেকেকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
ওজালানের ভূমিকা অতীতে বিভিন্ন শান্তি উদ্যোগে বিশেষ করে ২০১৩ সালের অস্ত্রবিরতি প্রচেষ্টায় কেন্দ্রীয় ছিল।
সূত্র : এএফপি