ইসরাইলের পাবলিক ব্রডকাস্টার কান জানিয়েছে, সরকার গত সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মূল পরিকল্পনা অনুসারে বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাফাহ ক্রসিং পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কান জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে হামাস আরো চারজন পণবন্দীর লাশ ফেরত দেয়ার পরে সেই সিদ্ধান্তটি বাতিল করা হয়েছে। এদিকে হামাস জানিয়েছে, আজ তারা আরো কয়েকজন পণবন্দীর লাশ হস্তান্তর করবে।
এর আগে, গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশের ওপর ইসরাইল নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল এবং জানিয়েছিল যে তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফাহ ক্রসিং খুলবে না।
গতকাল মঙ্গলবার ইসরাইল জাতিসঙ্ঘকে জানায়, বুধবার থেকে তারা প্রতিদিন মাত্র ৩০০ ত্রাণ ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেবে। যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির নির্ধারিত সংখ্যার অর্ধেক।
গাজায় জাতিসঙ্ঘের মানবিক-বিষয়ক সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র ওলগা চেরেভকো নিশ্চিত করেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সহায়তা প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা ইসরাইলি সংস্থা ‘কোঅর্ডিনেশন অফ গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ ইন টেরিটরিজ’ (সিওজিএটি) থেকে জাতিসঙ্ঘ নোটটি পেয়েছে।
ওই নোটে বলা হয়, মানবিক অবকাঠামো সম্পর্কিত নির্দিষ্ট প্রয়োজন ব্যতীত যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় জ্বালানি বা গ্যাস প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। এছাড়াও ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ গাজা ও মিসরের মধ্যে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রাখার ঘোষণাও দেয়।
উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বলে জানায় একাধিক হাসপাতাল সূত্র।
সূত্র : আল জাজিরা