ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরকে ইসরাইলের অংশ করে নেয়ার একটি প্রতীকী প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেট। বুধবার (২৩ জুলাই) নেসেটের আইনপ্রণেতাদের ৭১-১৩ ভোটে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। তবে ইসরাইলি পার্লামেন্টে পাস হওয়া প্রস্তাবটির কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
ওই প্রস্তাবে জুদেয়া, সামারিয়া ও জর্ডান উপত্যকায় ইসরাইলি সার্বভৌমত্ব প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলো অর্থাৎ পশ্চিমতীরকে ইসরাইল এই নামেই ডেকে থাকে।
এতে বলা হয়েছে, পশ্চিমতীরকে সংযুক্ত করার ফলে ‘ইসরাইলের নিরাপত্তা আরো মজবুত হবে এবং ইহুদি জনগণের তাদের নিজ ভূমিতে শান্তি ও নিরাপত্তার মৌলিক অধিকার নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা রোধ হবে’।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোটের উত্থাপিত এই প্রস্তাবটি ঘোষণামূলক এবং এর কোনো সরাসরি আইনি প্রভাব নেই। তবে ভবিষ্যতে পার্লামেন্টে এই ইস্যু নিয়ে আরো আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলো।
গত বছর ইসরাইলের অতি-ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ প্রাথমিকভাবে এই ধারণাটি সামনে এনেছিলেন। তিনি নিজেও একটি অবৈধ ইসরাইলি বসতিতে থাকেন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পশ্চিমতীর ও সেখানে থাকা বসতিগুলোর প্রশাসনিক দায়িত্বও পালন করেন।
১৯৬৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুসালেমসহ পশ্চিমতীর ইসরাইলি দখলদারিত্বে রয়েছে। তখন থেকেই আন্তর্জাতিক আইন এবং এমনকি বসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে ইসরাইলি আইন অনুসারে অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও এই বসতিগুলো সম্প্রসারিত হয়েছে।
বর্তমানে সেখানে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি এবং পাঁচ লাখেরও বেশি ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছেন।
সূত্র : আল জাজিরা