আরো ২ পণবন্দী ও ১৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর লাশ হস্তান্তর ইসরাইল-হামাসের

মঙ্গলবার গভীর রাতে হামাস আরো দুই ইসরাইলি পণবন্দীর লাশ হস্তান্তর করেছে। একইদিনে ইসরাইল ১৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর লাশ হস্তান্তর করেছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস ও ইসরাইল আরো পণবন্দী ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের লাশ হস্তান্তর করেছে। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলেছে, মিসরের সাথে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় চালু করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ইসরাইল গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করেছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) গভীর রাতে হামাস আরো দুই ইসরাইলি পণবন্দীর লাশ হস্তান্তর করেছে। যে দুইজনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে, তারা হলেন ৩৮ বছর বয়সী মাস্টার সার্জেন্ট তামির আদার ও ৮৫ বছর বয়সী আরিয়েহ জালমানোভিচ। বুধবার ভোরে তাদের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির শুরুতেই ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি একদিনে ২০ জন জীবিত পণবন্দীকে মুক্তি দিয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ১৫ জন ইসরাইলি পণবন্দীর লাশ হস্তান্তর করেছে। আনুমানিক আরো ১৩ জনের লাশ ইসরাইলে ফেরত পাঠানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হামাস জানিয়েছে, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও এর কিছু অংশে ইসরাইলি সেনাবাহিনী অবস্থান করার কারণে লাশ উদ্ধারের কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে।

এদিকে, মঙ্গলবারের শুরুতে ইসরাইল ১৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর লাশ হস্তান্তর করেছে। তাদের শনাক্তকরণের জন্য গাজার নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি হাসপাতাল সূত্র।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরাইল তাদের কারাগার থেকে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। তাদের আরো ৩৬০ জনের লাশ হস্তাস্তর করার কথা রয়েছে।

গত সপ্তাহে ইসরাইলের ফেরত পাঠানো প্রায় ৪৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর লাশ পরীক্ষা করেছে ফরেনসিক দল। ফরেনসিক দলটি জানিয়েছে, কিছু বন্দীর লাশে তখনো শেকল বাঁধা ছিল। তাদের অনেকের দেহেই শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা হত্যা করা হয়েছে।

সূত্র : আল জাজিরা