গাজা উপত্যকায় নিয়মিত টিকাদান, পুষ্টি ও বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণের জন্য বুধবার জাতিসঙ্ঘ একটি সমন্বিত ‘ক্যাচ-আপ’ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র ফারহান হক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলো আজ নিয়মিত টিকাদান, পুষ্টি ও বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সমন্বিত ‘ক্যাচ-আপ’ অভিযান শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। সেখানে ৪৪ হাজার শিশু যুদ্ধের কারণে জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে।’
তিনি জানান, শিশুদের পেন্টাভ্যালেন্ট, পোলিও, রোটা ও নিউমোকোকাস ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ এবং হাম, মাম্পস ও রুবেলা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেয়া হবে। তিনটি ডোজের প্রথমটা এই রোববার থেকে শুরু হবে এবং ১০ দিন ধরে চলবে।
গাজা জুড়ে প্রায় ১৫০টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও ১০টি ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি। এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল টিকা, সিরিঞ্জ, কোল্ড চেইন সরঞ্জাম ও পুষ্টি সরবরাহ ইতোমধ্যেই গাজা উপত্যকায় নিয়ে এসেছে দলগুলো। এই কর্মসূচির জন্য ৪৫০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রায় ১৫০ জন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির কাজ এগিয়ে চলছে, তবে আরো অনেক কিছু প্রয়োজন। সীমিত ক্রসিং, সঙ্কীর্ণ রাস্তা ও বিধি-নিষেধ ত্রাণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে।’
সূত্র : আনাদোলু অ্যাজেন্সি



