সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের গ্রামাঞ্চলে ইসরাইল আবারো অভিযান চালিয়েছে। এতে শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সৈন্যের আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভোরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান ও হামলায় নিহতদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। এ সময় কয়েক ডজন পরিবার বেইত জিন শহর থেকে নিকটবর্তী নিরাপদ এলাকায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
সিরিয়ান আরব নিউজ অ্যাজেন্সি (সানা) জানিয়েছে, কুনেইত্রার আল-সালাম শহরের গোলান জাতীয় হাসপাতালে দুই শিশুসহ পাঁচজন সিরিয়ানের লাশ নেয়া হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, ইসরাইলি ড্রোনগুলোও ওই এলাকার উপর দিয়ে উড়ছিল।
সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আহতদের উদ্ধারের জন্য বেইত জিনে প্রবেশ করতে পারেনি। কারণ ইসরাইলি সেনাবাহিনী যেকোনো গতিবিধি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইসরাইল দক্ষিণ সিরিয়ায় তাদের দখলদারিত্ব আরো বাড়িয়েছে। এরপর থেকেই সেখানে ঘন ঘন ইসরাইলি বাহিনী অনুপ্রবেশ করছে এবং আরো সহিংস হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার স্থানীয় সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, বেইত জিন শহরে ইসরাইলি কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকজন সিরীয় নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছে।
অনুপ্রবেশের পর সেখানকার বাসিন্দা ও আক্রমণকারী ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক বিবৃতিতে ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, তাদের ছয় সৈন্য আহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী আরো জানিয়েছে, তাদের অভিযান ‘সম্পন্ন’ হয়েছে এবং সব সন্দেহভাজনকে হয় গ্রেফতার করা হয়েছে অথবা ‘নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে’। তাদের বাহিনী এখনো ওই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে এবং ইসরাইলের ওপর ‘যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে’।
সূত্র : আল জাজিরা



