ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন গাজা চুক্তিকে অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিচ্ছে : কাতার

কাতারের প্রধানমন্ত্রী জানান, গাজায় মানবিক সহায়তা কোনো শর্ত ছাড়াই পৌঁছাতে হবে এবং চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ অবিলম্বে শুরু করতে হবে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা |সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নিয়মিত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন গাজা শান্তিচুক্তিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন জসিম আল-থানি।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সাথে বৈঠকের পর তিনি এই মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে বিলম্ব ও চুক্তির নিয়মিত লঙ্ঘন পুরো প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলছে।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনকারী দেশ কাতারের প্রধানমন্ত্রী জানান, গাজায় মানবিক সহায়তা কোনো শর্ত ছাড়াই পৌঁছাতে হবে এবং চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ অবিলম্বে শুরু করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের সপ্তম কৌশলগত বৈঠক এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যখন ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং গাজায় মানবিক সঙ্কট আরো গভীর হচ্ছে।

আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইল অন্তত ৭৩৮ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৯৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরো এক হাজার ৭৫ জন।

আল-জাজিরার যুক্তরাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান সংবাদদাতা অ্যালান ফিশার জানান, ওয়াশিংটনের আলোচনায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে। এর মধ্যে প্রধান ছিল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ানো। যার অধিকাংশই ইসরাইলি বাহিনীর মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে।

আলোচনায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের বিষয়টিও উঠে আসে। প্রস্তাবিত এই বাহিনীতে ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কের সেনা সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা রয়েছে। তবে তুরস্কের সম্পৃক্ততায় ইসরাইল আপত্তি জানিয়েছে।

এছাড়া গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক সঙ্কট নিয়েও আলোচনা হয়। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আরো বেশি সহায়তা প্রবেশের আহ্বান জানায় কাতার।

এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ প্রায় শেষের দিকে এবং গাজায় নিহত শেষ ইসরাইলি বন্দী মাস্টার সার্জেন্ট র‍্যান গিভিলির লাশ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

সূত্র: আল জাজিরা